নিজস্ব সংবাদদাতা: রবিবার থেকেই সরগরম টলিপাড়া। মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে ছয় জনকে পিষে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছোট পর্দার পরিচালক ভিক্টো ওরফে সিদ্ধান্ত দাসের বিরুদ্ধে। জখমদের মধ্যে একজনের পরে মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে সিদ্ধান্তকে। সোমবার আলিপুর কোর্টে দুপুর আড়াইটে নাগাদ পেশ করা হয় ভিক্টোকে। আদালতের নির্দেশ, আগামী তিন দিন সেন্ট্রাল লকআপে থাকতে হবে তাঁকে। খবরে, ১০ এপ্রিল আবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে। 

 

 

জানা গিয়েছে, রবিবার ভোর পর্যন্ত অভিনেতা আরিয়ান ভৌমিক, ঋ সেনগুপ্ত, স্যান্ডি সাহা এবং কার্যকরী প্রযোজক শ্রিয়া বসুকে নিয়ে পার্টি করেন অভিযুক্ত পরিচালক।  শনিবার রাত থেকেই শহরের প্রথম সারির পানশালায় উল্লাসে মেতেছিলেন পরিচালক ভিক্টো, অভিনেতা আরিয়ান ভৌমিক, অভিনেত্রী ঋ সেন, কার্যকরী প্রযোজক শ্রিয়া বসু, অভিনেতা-ইউটিউবার স্যান্ডি সাহা। এরপর সবাই মিলে আরিয়ানের বাড়িতে হাজির হন। তারপর ফেরার পথেই ওই গাড়ি দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার সময় গাড়ির মধ্যে ছিলেন পরিচালক ভিক্টো, শ্রিয়া বসু (সান বাংলা চ্যানেলের কার্যনির্বাহী প্রযোজক ) ও অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেন (ঋ)। তবে তখন ওই গাড়িতে আরিয়ান এবং স্যান্ডি ছিলেন না। টেলিপাড়ার একাংশ থেকে নেটিজেনদের অধিকাংশ এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সমাজমাধ্যমের পাতায়। ওই পথ দুর্ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন স্যান্ডি। 

 

আজকাল ডট ইন-কে স্যান্ডি বললেন ,“শনিবার রাতে দক্ষিণ কলকাতার পানশালায় পার্টি করতে গিয়েছিলাম। আমি যে ধারাবাহিকে কাজ করছি, তার বহু কলাকুশলীরা ছিলেন। জমিয়ে পার্টি করার পর আমি সহ-অভিনেতা আরিয়ান ভৌমিকের বাড়িতে চলে গিয়েছিলাম। যখন এই গাড়িচাপা...দুর্ঘটনাটি ঘটে আমি এবং আরিয়ান ছিলাম না গাড়িতে। বিশ্বাস করুন, সত্যিই ছিলাম না । কেন তাহলে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে যে আমি এবং আরিয়ান ঘটনাস্থলে ছিলাম? আমার অনুরোধ, সঠিক তথ্য না জেনে এরকম গুজব ছড়াবেন না। আরও একটা কথা বলি, যখন এই গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটে তখন আমি আর আরিয়ান ধারাবাহিকের শুটিং করছিলাম।  শুটিংয়ের ফাঁকে বিরতিতে দেখি আমার ফোনে ঋ'দির পাঁচটা মিসড কল। আমি যথারীতি পাল্টা ফোন করি। কেউ তোলেনি। এরপর আমাকে শ্রিয়া বসুর মা ফোন করেন। শ্রিয়াদি  গাড়ি দুর্ঘটনার সময় ছিলেন ওখানে। ওঁর থেকেই বিষয়টি জানতে পারি। এরপর থেকে সমাজমাধ্যমে সেই দুর্ঘটনার ভাইরাল ভিডিও দেখে বিষয়টি বুঝতে পারি।"

 

“আর একটা কথা। মদ্যপান করে গাড়ি চালানো একেবারেই উচিত নয়। যখন মদ্যপান করব, বুঝতে পারছি নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়ছি তখন কেন গাড়ি চালাব? তাতে তো ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে প্রচুর! কখনওই মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো সমর্থন করি না।  আর ভিক্টোদাকে সবাই গাড়ি চালাতে বারণ করেছিলেন...তবে ভিক্টোদার আরও দায়িত্বপ্রবণ হওয়া উচিত ছিল। আমিও বলেছিলাম আগে। তবে আমার কথা, বারণ কিছুই শোনেনি ও।”