দেবলীনা কুমার তাঁর অভিনয় এবং নাচের গুণে তো বটেই, তাঁর অন্যান্য দায়িত্ব পালনের মাধ্যমেও বারংবার নজর কেড়েছেন নেটিজেনদের। সমাজমাধ্যমে বেশ সক্রিয় তিনি। এদিন দেবলীনা তাঁর বাবা তথা তৃণমূল নেতা, বিধায়ক দেবাশিস কুমারের জন্মদিন উপলক্ষ্যে একটি বিশেষ আয়োজন করেছিলেন। আর সেই আয়োজন নিজের হাতে সামলাতে গিয়ে এক বিশেষ উপলব্ধির হল অভিনেত্রীর। 

দেবলীনা কুমার তাঁর বাবার এবারের জন্মদিন উপলক্ষ্যে তাঁকে সোজাসুজি উপহার দেওয়ার বদলে নরসেবা করলেন। কিছু মানুষের মুখে দুপুরের খাবার তুলে দেন। সেই অভিজ্ঞতা জানিয়ে লেখেন, 'আগামীকাল আমার বাবার জন্মদিন 

প্রতিবার ভাবি যে এবার অন্যরকম কি দেওয়া যায়। মেটিরিয়ালিস্টিক উপহার বলতে যা বোঝায়, তা ঈশ্বরের আশীর্বাদে আমার বাবার মোটামুটি সব আছে। নতুন কিছু দেওয়ার নেই। তাই ভাবলাম এবার অন্য কিছু করি। নরনারায়ণ সেবা। সোজা ভাষায়, আমি বিশ্বাস করি, মানুষের মধ্যে ঈশ্বর থাকেন। তার অল্প সেবা করতে পারলেও, উপরে ওঁদের সাথে একটা যোগসূত্র স্থাপন হয় । সেই ইচ্ছা থেকেই এটা করা, যাতে এই মানুষগুলো আমার বাবাকে মন প্রাণ ভরে আশীর্বাদ করেন।'

এদিন তিনি একই সঙ্গে জানান এই কাজ করতে গিয়ে জীবন সম্পর্কে এক বিশেষ উপলব্ধি হল তাঁর। দেবলীনার কথায়, 'কিন্তু এটা করতে করতে বেশ কিছু উপলব্ধি হল। আমরা প্রতিদিন, রোজ রোজ এই জীবন নিয়ে ভুড়ি ভুড়ি অভিযোগ করি। কিছুতেই আমরা খুশি ন । এটা কেন এমন হল? ও কেন এটা করল? ও কেন  এটা করল না? আর কিছু মানুষ এক টুকরো গাদার মাছের পিস পেলে কি খুশি। কত আনন্দ চোখে মুখে। জীবন আসলে এতটাই সহজ, আমরাই বড় জটিল করে তুলি। অনেক জাঁকজমক, আড়ম্বরের মাঝে থাকি (প্রফেশনাল হ্যাজার্ডস)। কিন্তু এই মিষ্টি সহজ জীবনটাই আমার একান্ত আপন, একান্ত ব্যক্তিগত। আমাকে খুব কাছ থেকে জানলে, সেটা জানা যায়। ভগবানের কাছে সারাদিন অনেক কিছু চাই, তার মধ্যে এটাও একটা চাওয়া, যে মানুষজনের মুখে যেন ২ মুঠো অন্ন তুলে দিতে পারি। সেটুকুও সামর্থ্য যেন দেন ঈশ্বর।' 

দেবলীনা এদিন তাঁর লেখার শেষে জানান তিনি এটি পোস্ট করতে চাননি, কিন্তু পৃথিবীতে এখন মায়া দয়া, মানবিকতা কমে গিয়েছে। তাই তিনি এই ছবি এবং অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন। তিনি চান, পৃথিবীর সবাই খুশি থাকুক।

প্রসঙ্গত দর্শক দেবলীনাকে শেষবার 'রক্তবীজ ২' ছবিতে দেখা গিয়েছে। সামনেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে তাঁ অনুষ্ঠান 'আবার দুই পৃথিবী'।