প্রথমে ছিল গুঞ্জন। সদ্য এক মার্কিনি সংবাদমাধ্যম তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্টে দাবি করেছেন, “এই ছবিতে ইভান্স আসছেই ১০০% ফিরছে”—মানে একশোভাগ নিশ্চিতভাবে ফিরছেন তিনি! এবং আরও স্পষ্টভাবে জানান, তিনি ফিরছেন স্টিভ রজার্স রূপেই, অর্থাৎ সেই পুরনো, আদর্শবাদী ক্যাপ্টেন আমেরিকা হিসেবে!

যদি সত্যি এই তথ্য প্রমাণিত হয়, তবে ইভান্স হবেন তৃতীয় অভিনেতা, যিনি মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্স (MCU)-এর সব অ্যাভেঞ্জার্স ছবিতে থাকছেন—রবার্ট ডাউনি জুনিয়র (আয়রন ম্যান) ও ক্রিস হেমসওয়ার্থ (থর)-এর সঙ্গে একই সারিতে।
As Steve https://t.co/g7psuHxdYs
— MyTimeToShineHello (@MyTimeToShineH)Tweet by @MyTimeToShineH
‘অ্যাভেঞ্জার্স: ডুমসডে’ কাস্ট রীতিমতো সুপারহিরো মহাসম্মেলন বলতে গেলে। এই ছবি মার্ভেল ইউনিভার্সের সবথেকে বিশাল আকারের কাস্টিং নিতে চলেছে। এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত হয়েছেন—
ক্রিস হেমসওয়ার্থ - থর
অ্যান্থনি ম্যাকি - নতুন ক্যাপ্টেন আমেরিকা
পেদ্রো পাসকাল - রিড রিচার্ডস (ফ্যান্টাস্টিক ফোর)
ভ্যানেসা কার্বি - সু স্টর্ম / ইনভিজিবল উম্যান
সেবাস্টিয়ান স্ট্যান - বাকি বার্নস / উইন্টার সোলজার
লেটিশিয়া রাইট - সুরি / ব্ল্যাক প্যান্থার
পল রাড - অ্যান্ট ম্যান
সিমু লিউ - সাং-চি
ফ্লোরেন্স পিউ - ইয়েলেনা বেলোভা
লুইস পুলম্যান - সেন্ট্রি
ড্যানি রামিরেজ - ফ্যালকন
ডেভিড হারবার - রেড গার্ডিয়ান
জোসেফ কুইন - জনি স্টর্ম / হিউম্যান টর্চ
ইবান মস-বাচরাক - দ্য থিং / বেন গ্রিম
হান্না জন-কামেন - গোস্ট
উইনস্টন ডিউক - এম’বাকু
টম হিডলস্টন - লোকি
ফিরে আসছেন একঝাঁক এক্স-মেন চরিত্রও:
প্যাট্রিক স্টুয়ার্ট - প্রফেসর এক্স
ইয়ান ম্যাককেলেন - ম্যাগনেটো
আলান কামিং - নাইটক্রলার
রেবেকা রোমজিন - মিস্টিক
জেমস মার্সডেন - সাইক্লপ্স
চ্যানিং ট্যাটাম - গ্যাম্বিট
তা কোন চরিত্রে দেখা যাবেন ইভান্স?
যদিও নিশ্চিতভাবে কিছু জানানো হয়নি, কিন্তু ভক্তদের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—ইভান্স ফিরবেন কোন টাইমলাইন বা রূপে? তিনি কি আগের স্টিভ রজার্স (যিনি ‘এন্ডগেম’ শেষে বয়স্ক হয়ে গিয়েছিলেন) নাকি মাল্টিভার্স-এর কোনো ভিন্ন ক্যাপ্টেন আমেরিকা?
এখনও মার্ভেল বা কেভিন ফেইজ-এর তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু ঘোষণা হয়নি, তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় জল্পনা তুঙ্গে, বিশেষ করে রবার্ট ডাউনি জুনিয়রের ডক্টর ডুম চরিত্রে ফিরে আসার খবরের পরে।
‘অ্যাভেঞ্জার্স: ডুমসডে ’ শুধুই এক যুদ্ধ নয়, এটি হতে চলেছে মার্ভেলের পরবর্তী মহাযুদ্ধ, যেখানে নতুন প্রজন্মের সুপারহিরোদের পাশাপাশি পুরনো কিংবদন্তিদের পুনরাবির্ভাব ঘটবে। ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৬—এই দিনটা বুক করে রাখুন। কারণ মার্ভেলমসিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের ফিরছে—আর এবার সব সীমা পেরিয়ে।
২০২৬-এ মুক্তির কথা থাকলেও এখনই সোশ্যাল মিডিয়ায় লিক হওয়া ছবি আর ভিডিও ঘিরে উত্তাল ভক্তমহল।
সম্প্রতি এক ক্রু মেম্বারের শেয়ার করা বিহাইন্ড দ্য সিন ছবি ঘিরে নতুন করে উন্মাদনা শুরু হয়েছে। ওই ছবিতে এক ফ্রেমে দেখা গিয়েছে ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’-এর ‘দ্য থিং’, ‘থান্ডারবোল্টস’-এর ইউএস এজেন্ট এবং ফ্যালকন— তাও পুরো সুপারহিরো কস্টিউমে, একসঙ্গে দাঁড়িয়ে এক রহস্যময় কন্ট্রোল রুমে!
ভক্তদের একাংশ দাবি করছেন, চরিত্রগুলির অবস্থান যেহেতু কাঁচে ঢাকা রুমে, এটা সম্ভবত ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’-এর স্পেসশিপের ককপিট, যা দেখা গিয়েছিল ‘থান্ডারবোল্টস’ সিনেমার পোস্ট-ক্রেডিট দৃশ্যে।অন্যদিকে, প্যানেলের রেট্রো ডিজাইন দেখে অনেকে বলছেন, এটা হতে পারে টিভিএ অফিস—যেখানে টাইমলাইনের নিয়ন্ত্রণ চলে। তাহলে কি টাইমলুপে ঢুকে পড়েছে এরা? আবার আগের লিকড ফুটেজে যে লোকেশন দেখা গিয়েছিল, তা দেখতে ছিল মাড্রিপুর-এর মতো—মার্ভেলের বিখ্যাত কাল্পনিক অপরাধপ্রবণ দ্বীপ!
আসলে, জেমস গান-এর ‘সুপারম্যান’ ছবিকে টেক্কা দিতে মরিয়া মার্ভেল! ‘থান্ডারবোল্টস’ ছবিটি সমালোচক ও দর্শকের প্রশংসা পেলেও, সাম্প্রতিক মার্ভেল ওয়েব সিরিজগুলো বক্স অফিসে যেমন চরম ব্যর্থ হয়েছে, তেমন জন্মান্সও ছাপ ফেলতে পারেনি একেবারেই। তাই সমস্ত চাপ এখন পড়েছে মার্ভেল-এর এই দুটি ছবির ওপর—
দ্য ফ্যান্টাস্টিক ফোর: ফার্স্ট স্টেপস (মুক্তি: ২৫ জুলাই, ২০২৫)
অ্যাভেঞ্জার্স : ডুমসডে (মুক্তি ২০২৬)
