সংবাদ সংস্থা মুম্বই: অক্ষয় খান্নার অভিনয় প্রতিভা নিয়ে সন্দেহ নেই তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ শত্রুরও। সমালোচক থেকে জনতামহল তাঁর অভিনয়কে ভূয়সী প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। আর পাঁচজন তথাকথিত বলি-তারকার সংজ্ঞায় ফেলা যায় না অক্ষয়কে। সে তাঁর লুক হোক কিংবা ছবি নির্বাচনের তালিকা। বরাবর-ই নিজের নীতির প্রতি সৎ থেকেছেন অক্ষয় খন্না। তার জন্য ‘আন্ডাররেটেড’ অভিনেতার তকমা পেয়েছেন হয়তো। কিন্তু সে কারণে অক্ষয়ের কোনও অনুশোচনা নেই। আপসহীন মনোভাবই তাঁর কাছে শেষকথা। সম্প্রতি, নিজের অকালে টাক পড়ার অভিজ্ঞতা ভাগ করলেন তিনি। সঙ্গে এও জানালেন কীভাবে সেই 'কষ্টকর' এবং 'মনখারাপ'-এর অভিজ্ঞতা পেরিয়ে এসেছেন তিনি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অক্ষয় খান্না জানলেন, খুব কম বয়স থেকেই টাক পড়া শুরু হয়েছিল তাঁর। মাত্র ১৯-২০ বছর বয়সেই। এবং সেই বিষয়টা তাঁকে শারীরিক ও মানসিক দু'ভাবেই প্রভাবিত করেছিল। আরও জানান, একজন অভিনেতার জীবনে চুলের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাঁকে কোন ধরনের চরিত্রে মানাবে, তা অনেকসময় তাঁর মাথার চুল দেখেই ঠিক করা হয়। তাই একজন অভিনেতার অল্প বয়সে চুল হারানো অনেকটা একজন পিয়ানোবাদকের আঙ্গুল হারানোর সমান!
‘ছাবা’ অভিনেতা জানালেন, সময় লাগে এটা মেনে নিতেই যে মাথায় টাক পড়ছে এবং তা ক্রমশ তা বড় হচ্ছে। অল্প বয়সে টাক পড়া বিষয়টা গভীরভাবে আত্মবিশ্বাসে আঘাত দেয়। তাঁরও সময় লেগেছিল এটা মানতে। তবে একবার মেনে নেওয়ার পর আর কোনও সমস্যা হয়নি তাঁর –“যতদিন না কেউ নিজের টাক পড়ার সত্যিটা মেনে নিচ্ছেন মন থেকে, ততদিন বিষয়টা অস্বস্তি দেয়। একবার মেনে নিলেই, ব্যস! তারপর এই সম্পর্কিত কিছুই তাঁর আত্মবিশ্বাসকে টলাতে পারবে না।”
