সংবাদ সংস্থা মুম্বই: সাহসিকতার গল্প বললেন অম্রুতা সুভাষ। ইন্ডাস্ট্রির অন্ধকার, ধোঁয়াটে দিকেরও বটে। স্পষ্ট কথায় অভিনেত্রী বললেন, 'আমার শরীর কেউ ছুঁতে পারবে না, বিনা অনুমতিতে তো নয়ই!' সম্প্রতি, অম্রুতার সেই সাক্ষাৎকারে উঠে এল দু’টি গভীর অস্বস্তিকর ঘটনা—দুই প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে স্পষ্ট ভাষায় রুখে দাঁড়িয়েছিলেন 'গল্লি বয়' এবং 'সেক্রেড গেমস'-এর জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী।
একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানালেন, ‘‘একবার একটি নাটকের প্রযোজক… আমি সিঁড়ি বেয়ে উঠছিলাম, হয়তো আমার টপটা একটু উঠেছিল, আমিই বুঝিনি। হঠাৎই কোমরের কাছে একটা স্পর্শ টের পেলাম। ঘুরে দেখি, একজন বড় প্রযোজক। আমি সরাসরি বলি, ‘এই, কী করছ তুমি? এটা কী ছিল?’ সে বলল, ‘না না, তোমার টপটা একটু উঠেছিল।’ আমি বলি, ‘ওটা তো তোমার দেখার বিষয় না! তোমার সাহস হয় কীভাবে আমাকে স্পর্শ করবার?’ আমার সেই মন্তব্য শুনেসেখানে উপস্থিত সবাই স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। কারণ, ওই ব্যক্তি ইন্ডাস্ট্রির একজন বড় নাম।’’
ঘটনার পর সেটে অনেকে চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন—ভেবেছিলেন হয়তো কাজ হারাতে পারেন অম্রুতা। কিন্তু অমৃতা জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘তিনি যদি নিজের হয়ে প্রতিবাদ না করেন, তাহলে আর কে করবে?’’
শুধু এটাই নয়। রয়েছে আরও এক সাহসী প্রতিবাদ। অন্য এক ঘটনায়, এক প্রবীণ প্রযোজক বারবার অমৃতাকে নিজের সঙ্গে মদ্যপান করতে বাধ্য করতেন। একদিন এই আচরণের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেন এই অভিনেত্রী। ‘‘আমি দরজা ধাক্কা দিয়ে খুলে ঢুকে পড়েছিলাম তাঁর কামরায়। জানতাম, অনেকেই দেখছে। আমি চোখে চোখ রেখে বলি, ‘স্যার, আপনি আমার বাবার বয়সী। কেন আপনি আমাকে এভাবে বলছেন? আপনার সমস্যা কী?’ আমি ঠান্ডা মাথায় বলি, কিন্তু সোজা চোখে তাকিয়ে। তখনই সে অস্বস্তিতে পড়ে যায়। আমি দরজা খোলা রাখি, শুধু ওর নয়, আমার নিরাপত্তার জন্যও। তারপর অবশ্য সব ঠিক হয়ে যায়...’’
প্রসঙ্গত, অম্রুতা সুভাষকে এবার দেখা যাবে ‘চিড়িয়া’ ছবিতে, যেখানে তাঁর সঙ্গে থাকছেন বিনয় পাঠক, স্বর কাম্বলে, আয়ুষ পাঠক, ব্রিজেন্দ্র কালা এবং মুজাফফর খান। মুম্বইয়ের এক বস্তিকে কেন্দ্র করে তৈরি এই ছবিতে, দুই ভাইয়ের ব্যাডমিন্টন খেলার স্বপ্ন ও সংগ্রামের কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে। পরিচালক মেহরান আমরোহি। ‘চিড়িয়া’ মুক্তি পাচ্ছে আগামী ৩০ মে।
