সংবাদ সংস্থা মুম্বই: আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এআই১৭১ বিমান দুর্ঘটনার ধাক্কার রেশ জনমানসে এখনও কাটেনি। ১২ জুনের সেই মর্মান্তিক ট্র্যাজেডিতে প্রাণ হারিয়েছেন ২৪১ জন যাত্রী ও কর্মী। এই শোকস্তব্ধ মুহূর্তে একদিকে যেমন প্রশ্ন উঠেছে এয়ার ইন্ডিয়া-র নিরাপত্তা ও পরিচালনায়, তেমনই আবার কেউ কেউ সাহস, শ্রদ্ধা ও আত্মবিশ্বাসের বার্তা দিয়েছেন—নির্মম বাস্তবের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে।
এমন আবহেই নজর কেড়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা কনওয়ালজিৎ সিং। নিজেই ইনস্টাগ্রাম ভিডিও পোস্ট করে জানান—“ এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে চেপে কলম্বো যাচ্ছি। উইল বানিয়ে ফেলেছি!” যদিও উক্তিটি মজার, তবে এই হাস্যরসের মোড়কে একটা গভীর ব্যঙ্গ লুকিয়ে রাখলেন তিনি। নেটিজেনরা কমেন্টে হেসে গড়াগড়ি খেলেও, উপেক্ষা করা গেল না অভিনেতার কথার ভিতরে থাকা লুকিয়ে থাকা তীক্ষ্ণ খোঁচা।
?utm_source=ig_embed&utm_campaign=loading" target="_blank" rel="noopener">A post shared by Kanwaljit Singh (@kanwaljit19)
অন্যদিকে অভিনেত্রী রবিনা ট্যান্ডন তুলে ধরলেন এক অন্যরকম আবেগ—“নতুন শুরু… সবরকম বিপদ কাটিয়ে ফের নতুন করে চলার উদ্যম…” লিখে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, কীভাবে তিনি এখনও এয়ার ইন্ডিয়া-তে ভরসা রাখেন। যাত্রী-ক্রুদের মুখে "শোকের হাসি", চোখে অভিব্যক্তির নীরব বন্ধন—রবিনার এই লেখা যেন বিমানে বসেই কেউ হৃদয় উজাড় করে লিখেছেন।
জনপ্রিয় কৌতুকশিল্পী বীর দাস-ও এয়ার ইন্ডিয়া কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বললেন—“এটা এক কান্নার দিন বহু পরিবারের জন্য। আমি সব সময় এয়ার ইন্ডিয়া-র সঙ্গে উড়েছি। ওরা নিখুঁত না হলেও, ওরাই সবচেয়ে ভাল কেবিন ক্রু—এটা চোখ বন্ধ করে বলি।”
আহমেদাবাদে ভয়াবহ এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনা এক ঝলকে—
দুর্ঘটনার তারিখ: ১২ জুন, ২০২৫
উড়ান: এআই১৭১ (AI171) (আহমেদাবাদ থেকে লন্ডন)
বিমান: বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার
মৃত: ২৪১
জাতীয়তা: ১৬৯ ভারতীয়, ৫৩ ব্রিটিশ, ৭ পর্তুগিজ, ১ কানাডিয়ান
বেঁচে থাকা একমাত্র ব্যক্তি: বিশ্বাশ কুমার রমেশ, সিট নম্বর ১১এ, সামান্য আঘাত পেলেও প্রাণে বেঁচে যান।
এই মুহূর্তে প্রশ্ন একটাই— এয়ার ইন্ডিয়া কি হারানো আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারবে? যেখানে একদিকে অভিনয় জগতের ব্যক্তিত্বেরা পাশে দাঁড়াচ্ছেন এই বিমান সংস্থার, অন্যদিকে সাধারণ যাত্রীদের মনে এখনও ভয় আর সংশয়। কনওয়ালজিৎ-এর ঠাট্টা, রবিনার আবেগ আর বীর দাসের কৃতজ্ঞতা—তিনটি আলাদা সুর হলেও, একটাই কথা বলছে—“ভয় পেলে চলবে না, কিন্তু ভুলে যাওয়াও নয়।”