সংবাদ সংস্থা মুম্বই: সইফ আলি খানকে ভূয়সী প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন অক্ষয় কুমার। পতৌদির নবাবকে ‘সাহসী’র আখ্যা দিলেন অক্ষয়। শুধু তাই নয়, অসুস্থ বলি-তারকার উদ্দেশ্যে কুর্নিশ জানিয়ে নিজের ‘খিলাড়ি’ নামের তকমা ভাগ করে নিলেন তাঁর সঙ্গে!
সম্প্রতি, 'স্কাই ফোর্স' ছবির প্রচার অনুষ্ঠানে মঞ্চে উঠে সইফ-কাণ্ডে মুখ খোলেন অক্ষয়। একাধিক জনপ্রিয় হিন্দি ছবিতে কাজ করার পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনেও পরস্পরের দারুণ বন্ধু তাঁরা। 'অক্কি' জানালেন, যেভাবে নিজের পরিবারকে বাঁচানোর জন্য ধারালো ছুরি হাতে ধরা এক ব্যক্তির মুখোমুখি হয়েছেন সইফ, তার জন্য তাঁকে কুর্নিশ। অক্ষয় আরও বলেন, “সইফ যে বিপন্মুক্ত এ খবরে আমি যারপরনাই স্বস্তিতে ।পুরো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি স্বস্তিতে। আমরা সবাই ভীষণ খুশি। আর…আর একটা কথা বলতে চাই, ও আর আমি একসঙ্গে একটি ছবি করেছিলাম ‘ম্যায় খিলাড়ি তু আনাড়ি’। তবে পরেরবার সইফের সঙ্গে জুটি বেঁধে যদি ছবি করি, সেই ছবির নাম আমি নিজে রাখব ‘তু খিলাড়ি’। উল্লেখ্য, নয় দশকের মুক্তি পাওয়া সেই জনপ্রিয় ছবিতে 'খিলাড়ি' ছিলেন অক্ষয় এবং 'আনাড়ি' ছিলেন সইফ। তবে এবার নিজের সেই তকমা ভাগ করে নিতেও পিছপা নন ‘স্কাই ফোর্স’ ছবির নায়ক।
অন্যদিকে, সইফ কাণ্ডে অভিযুক্ত সম্পর্কে একের পর এক উঠে আসছে নিত্যনতুন তথ্য। অভিযুক্তকে রবিবার-ই গ্রেপ্তার করেছিল মুম্বই পুলিশ। হামলার প্রায় ৭০ ঘণ্টার মাথায় মুম্বই পুলিশ তার নাগাল পেয়েছিল। ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি বাংলাদেশি। নাম, মোহম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ। পুলিশ সূত্রে আরও খবর, মাস কয়েক আগে বাংলাদেশ থেকে প্রথম পশ্চিমবঙ্গে, সেখান থেকে মুম্বইয়ে হাজির হয়েছিল এই অভিযুক্ত। ভুয়ো পরিচয় দিয়ে একটি হাউসকিপিং সংস্থায় চাকরিতে ঢুকেছিল সে। সেখান থেকে পরে একাধিক হোটেল ও রেঁস্তরায় কাজ নেয় সে। ওরলির 'স্লিঙ্ক অ্যান্ড বারোডেট' রেস্তরাঁ থেকে সে বরখাস্ত হয়েছিল একটি হিরের আংটি চুরির অভিযোগে!
প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ের থানে অঞ্চলের কাসারবাদালি থেকে শরিফুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সইফের বান্দ্রার বাড়ি থেকে ওই জায়গাটির দূরত্ব প্রায় ৩৫ কি.মি। এক শ্রমিক ঠিকাদারের মারফৎ খবর পেয়ে পুলিশ অভিযুক্তকে ধরতে। থানের একটি জঙ্গুলে অঞ্চলে শ্রমিকদের বসতিতে হানা দেয়। পুলিশ এসেছে শুনেই ওই জঙ্গলে গা ঢাকা দেয় অভিযুক্ত। প্রায় ৭ঘন্টা লুকোচুরির পর পুলিশের নাগালে আসে অভিযুক্ত।
গত বুধবার গভীর রাতে নিজের বাড়িতেই হামলা হয় নবাব পুত্র সইফ আলি খানের উপর। শরীরে ছ'টি ক্ষত, তারমধ্যে দু'টি বেশ গভীর। চিকিৎসকরা প্রথম দিনেই জানিয়েছিলেন, অল্পের জন্য বড় বিপদ থেকে বেঁচে গিয়েছেন, না হলে ঘটতে পারত আরও বড় কিছু। লীলাবতী হাসপাতালে ওই রাত থেকেই চিকিৎসারত সইফ। তাঁকে ইতিমধ্যেই আইসিইউ থেকে জেনারেল ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন এবং স্বাভাবিক ভাবে খাওয়াদাওয়া শুরু করেছেন। আশা করা যাচ্ছে, আগামী দু’এক দিনের মধ্যেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে।
