সংবাদ সংস্থা মুম্বই: সময়টা একেবারেই ভাল যাচ্ছে না অক্ষয় কুমারের। সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এই বলি-তারকা এবার খবর এল সদ্য মুক্তি পাওয়া তাঁর নতুন ছবি 'সরফিরা' মুখ থুবড়ে পড়েছে বক্স অফিসে। এই নিয়ে অক্ষয়ের টানা ৯টি ছবি ব্যর্থতার মুখ দেখল। 

গত শুক্রবার বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছে 'সরফিরা'। সমালোচক মহলে অক্ষয়ের অভিনয় প্রশংসিত হলেও সাধারণ দর্শকের কাছে তেমনভাবে গৃহীত হয়নি এই ছবি। তার হাতেগরম প্রমাণ ছবির বক্স অফিস কালেকশন। মুক্তির দিন মাত্র ২.৫ কোটি টাকা আয় করেছে 'সরফিরা'। শনিবার ও রবিবার টাকার অঙ্কটা যথাক্রমে ৪.২৫ কোটি এবং ৫.২৫ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে সপ্তাহান্তে মাত্র ১২ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে অক্ষয় কুমার -রাধিকা মদন জুটির এই ছবি। প্রশ্ন উঠেছে, অক্ষয়ের তারকা-জৌলুস কী তবে পড়তির দিকে? কারণ 'খিলাড়ি'র মতো বলিউডের প্রথম সারির তারকার ছবির যদি বক্স অফিসে এই হাল হয় তাহলে তা অভিনেতা এবং বলিপাড়া, দু'পক্ষের জন্য ভাল খবর নয়।

অক্ষয়-ভক্তরা প্রশ্ন তুলতেই পারেন গত বছর মুক্তি পাওয়া 'ওএমজি ২' তো ভাল ব্যবসা করেছিল। কিন্তু সে ছবিতে প্রায় অতিথি শিল্পীর ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল অক্ষয়কে। সে ছবির প্রধান চরিত্রে ছিলেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী। অক্ষয়ের শেষ সুপারহিট ছবি 'সূর্যবংশী'। রোহিত শেট্টির পরিচালনায় ২০২১-এ বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল সেই ছবি। এরপর 'বচ্চন পাণ্ডে', 'সম্রাট পৃথ্বীরাজ', 'রাম সেতু', 'রক্ষাবন্ধন', 'সেলফি', 'বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা' 'কাঠপুতলী', 'বেল বটম' সব'কটি ছবি ব্যর্থ হয়েছে। এর মধ্যে 'কাঠপুতলী' ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ওটিটিতে। তা স্বত্বেও সে ছবি গ্রহণ করেননি দর্শক। 

প্রসঙ্গত, অক্ষয়ের পরপর ছবির ব্যর্থতার কারণ খুঁজতে গিয়ে সমালোচকের একাংশ‌ বলছেন, অভিনেতার উচিত আর কোনও ছবির রিমেকে অভিনয় না করা তা সে যতই ভাল হোক। কারণ ওটিটির দৌলতে 'আসল' ছবিটি দেখে ফেলেন বহু দর্শক। তারপর গাঁটের কড়ি খসিয়ে, সময় খরচ করে অক্ষয় অভিনীত সেই ছবির রিমেক কেন দেখতে চাইবেন তাঁরা? ফিল্ম ট্রেড অ্যানালিস্টদের একাংশের মতে, অধিকাংশ এই ফ্লপ ছবিগুলি করতে অক্ষয় রাজি হয়ে গিয়েছিলেন করোনা পূর্ববর্তী সময়ে। করোনার পরে দর্শকের স্বাদ বদলেছে। সেই কারণেই হয়তো ধাক্কা খাচ্ছে এইসব ছবি। তার উপর 'সরফিরা' নিয়ে তেমন প্রচারও করেননি 'খিলাড়ি'। 

আর অক্ষয়? তিনি নিজে কী বলছেন? এখনও পর্যন্ত 'সরফিরা' অথবা এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি আসেনি তাঁর তরফে।