নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রয়াত উস্তাদ জাকির হুসেন। রবিবার গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সান ফ্রানসিসকোর এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এই বিশ্ববরেণ্য তবলাবাদককে। সোমবার ভারতীয় সময় সকাল ৬টায় সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩। রবিবার রাতে জাকিরের মৃত্যুর খবর নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। দেশ-বিদেশের প্রায় সমস্ত সংবাদমাধ্যম তাঁদের প্রতিবেদনে দাবি করেছিল জাকির প্রয়াত। কিন্তু সেই খবর নস্যাৎ করে দেন তাঁর পরিবারের লোকেরা।


শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রবিবার তাঁকে আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকোর এক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শিল্পী। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা সঙ্গীত জগৎ। জাকির হুসেনের স্মৃতিচারণায় বিক্রম ঘোষ আজকাল ডট ইন-কে বলেন, "তালের জগৎ তার সোম হারাল। সোম হল যে কোনও সাইকেলের প্রথম বিট। এবং যে কোনও তালেরই কেন্দ্রে আছে সোম। যাকে ঘিরে তালের ব্রহ্মাণ্ডটা ঘোরে। তিনিও ছিলেন সেই 'সোম'। যাঁকে ঘিরে তালের ব্রহ্মাণ্ডটা ঘুরত। ওঁর চলে যাওয়াটা অকল্পনীয়। কত কাজ বাকি ছিল ওঁর। হুট করে ওঁর মতো একজন মানুষের চলে যাওয়াটা ঠিক হল না। আমার কাছে বড় দাদার থেকে কিছু কম ছিলেন না।"

 

তিনি আরও বলেন, "আমরা ছোটবেলায় একই বাড়িতে থাকতাম। বাবা, মা আর আমি উপরতলায় থাকতাম। আর নীচে জাকির জি আর পণ্ডিত চিত্রেশ দাস কত্থক মায়েস্ত্রো থাকতেন। বড়দাদার থেকে কম কিছু ছিলেন না তিনি।সারাজীবন ধরে আমাকে রাস্তা দেখিয়েছেন মানুষটা। খুব স্নেহ করতেন। ওঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধা তো রয়েইছে। আর যে ভালবাসাটা আছে সেটা দেখা হলেই বোঝা যেত। আমরা দু'জনেই অনুভব করতাম। আমাকে দেখা হলেই আদর করতেন।" 

 

আবেগপ্রবণ হয়ে বিক্রম ঘোষ বলেন, "সঙ্গীত জগতের যে ক্ষতিটা হল এটা অকল্পনীয়। আরও দশটা বছর বাঁচতে পারতেন জাকিরদা। কাজ করতে হয় করছি। কিছুই ভালো লাগছে না আর। জাকিরভাই, জাকিরজি বলে আর কাউকে ডাকব না কোনওদিন। ভাবতেই পারছি না।"