সংবাদসংস্থা, ঢাকা: ক্রিকেটের পাশাপাশি সিনেমাতেও অভিনয়ের কথা ভেবেছিলেন বাংলাদেশি খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান। কিন্তু মাঝপথেই সিনেমা থেকে চম্পট দেন তিনি। আর তাতেই ডুবে যায় সিনেমা। এমনই অভিযোগ করলেন বাংলাদেশে চিত্র পরিচালক রাজিবুল হোসেন। নিজের ফেসবুকে এই নিয়ে দীর্ঘ পোস্ট দিয়েছেন পরিচালক।
রাজিবুলের দাবি, ২০১২ সালে ‘সবকিছু পিছনে ফেলে’ নামের একটি ছবির পরিচালনা শুরু করেন তিনি। পরিচালনার পাশাপাশি প্রযোজনার দায়িত্বেও ছিলেন তিনিই। তাঁর অভিযোগ, ছবির পৃষ্ঠপোষক ছিল ‘ফুজিফিল্ম বাংলাদেশ’ নামের একটি সংস্থা। সেই সংস্থার শুভেচ্ছাদূত ছিলেন সাকিব। আর তার জন্যেই ছবিতে নেওয়া হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ককে।
পরিকল্পনামাফিক বাংলাদেশের কক্স বাজার সৈকতে ছবির শুটিং শুরু হয়। সব মিলিয়ে ৮ দিন শুটিংয়ে আসার কথা ছিল সাকিবের। সবকিছু পরিকল্পনামাফিক শুরু হলেও যেই ছবিতে সাকিবের অভিনয়ের কথা প্রকাশ্যে আসে, তখনই আচমকা বেঁকে বসেন সাকিব। জানান, তিনি এই ছবিতে অভিনয় করবেন না। ফুজিফিল্মের থেকে পরিচালককে সাকিবের অংশ বাদ দিতে চাপ দেওয়া হয়। কিন্তু রাজিবুলের দাবি, ততদিনে ৬৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। এতো বড় ধাক্কা সামলাতে পারেননি তিনি। তাই ছবির কাজ পুরোপুরি বন্ধ করে বাধ্য হন নির্মাতা।
ঘটনার কথা ফাঁস হতেই সমালোচনা শুরু হয়েছে প্রাক্তন ক্রিকেটারকে নিয়ে। যদিও গোটা বিষয়ে এখনও মুখ খোলেননি বাংলাদেশের অলরাউন্ডার।
