মঞ্চসফল নাটক পর্দাতেও সফল হতে পারে উদাহরণ রয়েছে। অনির্বাণ ভট্টাচার্যের ‘মন্দার’ কিংবা ‘বল্লভপুরের রূপকথা’। সেই পথে হেঁটে পর্দায় পরিচালনায় হাতেখড়ি হচ্ছে মঞ্চসফল পরিচালক অর্ণ মুখোপাধ্যায়ের। চার শতাব্দীর পুরনো কালজয়ী নাটক শেক্সপিয়রের ‘ওথেলো’কে অর্ণ এর আগে একাধিকবার মঞ্চস্থ করেছেন। এবার পর্দায় ‘অথৈ’কে সফল করার পালা। সাফল্য যাতে অধরা না থাকে তার জন্য ডেকে নিয়েছেন সোহিনী সরকার, অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে। সোহিনী অথৈতে কেন্দ্রীয় নারীচরিত্র ‘ডেসডিমোনা’। বাংলা রূপান্তরে ‘দিয়ামোনা’। ছবির ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টরের ঝক্কি সামলানোর পাশাপাশি অনির্বাণ ‘ইয়াগো’ বা ‘গোগো’। প্রযোজনায় এসভিএফ।

সোহিনী অর্ণর পরিচালনায় মঞ্চে ‘মহাভারত’ নাটকে অভিনয় করেছেন। তাঁর অভিনীত চরিত্র ‘দ্রৌপদী’ দর্শকদের পাশাপাশি সমালোচকদেরও মুগ্ধ করেছে। সোহিনী অনির্বাণের ‘মন্দার’-এও কেন্দ্রীয় নারী চরিত্র ‘লেডি ম্যাকবেথ’ জীবন্ত করেছিলেন। স্বাভাবিক ভাবে ফের শেক্সপিয়রীয় সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পেয়ে দারুণ খুশি। অর্ণর মতে, প্রেম, ন্যায়, মূল্যবোধ আর ভালবাসার জমিতে অবিশ্বাস, সন্দেহ, ঘৃণার কালো ছায়ার এই গল্প ছুঁয়ে যায় আজকের সময়কেও। তাই তারকাদের পাশাপাশি তিনিও অনির্বাণের মতোই একঝাঁক নতুন মঞ্চাভিনেতা নিয়েছেন।



কী বলছেন পরিচালক-অভিনেতা অনির্বাণ? তাঁর কথায়, ‘‘চার শতাব্দীরও বেশ পুরনো এই সাহিত্য ২০১৬-য় মঞ্চে আসে অর্ণর পরিচালনায়। সাত বছর ধরে বহুবার মঞ্চস্থ হওয়ার পরে এটি পর্দায়। চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় অর্ণ। ওথেলোর ভূমিকায় পরিচালক নিজেই।’’ ছবির পোস্টার শনিবার প্রথম প্রকাশ্যে। ১৪ জুন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি।