সংবাদ সংস্থা মুম্বই: ফের শিরোনামে সইফ আলি খান। আইনি বিপাকে এই বলি-তারকা। চলতি বছর নিজের বাড়িতেই ছুরিকাহত হওয়ার ঘটনায় শিরোনামে আসার পর, এবার ১২ বছরের পুরনো তাঁর বিরুদ্ধে এক মারপিটের মামলা উঠল আদালতে। সেই ঘটনার সাক্ষী হিসেবে শনিবার আদালতে নিজের বয়ান দিলেন অমৃতা অরোরা।
ঘটনার সূত্রপাত ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১২। সেদিন দক্ষিণ মুম্বইয়ের এক পাঁচতারা রেস্তোরাঁয় করিনা কাপুর, করিশ্মা কাপুর, মালাইকা অরোরা, অমৃতা অরোরা এবং আরও কিছু বন্ধুর সঙ্গে নৈশভোজ সারছিলেন সইফ। সেখানেই অভিযোগকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বাসিন্দা ইকবাল শর্মার সঙ্গে ঝামেলা বাধে তাঁর এবং কয়েক পশলা মুহূর্তের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়! কী ঘটেছিল সেদিন?
সূত্রের খবর, আদালতে অমৃতা তাঁর বয়ানে বলেছেন, “আমরা হইহই করে রেস্তরাঁয় নৈশভোজ সারছিলাম, হঠাৎই এক ব্যক্তি এসে চিৎকার করে বলে—‘চুপ করো!’ স্বভাবতই আমরা সবাই চমকে যাই।” তিনি আরও বলেন, “সইফ তখনই উঠে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চেয়ে নেন। ওই ব্যক্তির সঙ্গে শান্ত স্বরে কথা বলার চেষ্টা করেন, কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি শান্ত হয়নি।" অভিনেত্রী আরও জানান, এরপর ঘর থেকে বেরিয়ে যান ইকবাল নামের সেই ব্যক্তি। তবে অমৃতা বা সইফ কেউই বুঝতে পারেননি, ওই ব্যক্তি তাঁদের কামরার বাইরে ঠায় দাঁড়িয়েছিলেন। এরপরই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। তিনি আরও জানান, ওই ব্যক্তি কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে চলে যান, আর তাঁদের ডিনার স্বাভাবিকভাবে চলতে থাকে। তবে, কিছুক্ষণ পর সইফ যখন ওই রেস্তোরাঁর শৌচালয়ে যান, তখন হঠাৎই তাঁরা একাধিক উঁচু গলায় তর্কাতর্কির আওয়াজ শুনতে পান, যার মধ্যে সইফের গলাও ছিল। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই, সেই ব্যক্তি আচমকা তাঁদের ব্যক্তিগত জায়গায় ঢুকে সইফের উপর হাত তোলেন। সইফের দাবি, ওই এনআরআই ব্যবসায়ী ইকবাল শর্মা তাঁদের টেবিলে এসে মহিলাদের উদ্দেশে কটূক্তি ও গালিগালাজ করেন, যা থেকে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় শুরু হয়। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই রেস্তোরাঁর শান্ত পরিবেশ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়!
অবশ্য পুলিশের কাছে ইকবালের অভিযোগ, সইফ ও তাঁর দুই বন্ধু- শাকিল লাদাক ও বিলাল আমরোহি মিলে তাঁকে এবং তাঁর শ্বশুর রমন প্যাটেলকে বেজায় মারধর করেন। ঘুষি মেরে সইফ নাকি তাঁর নাকও ফাটিয়ে দিয়েছিলেন! এই মামলায় সইফদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৫ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছিল। সইফ অবশ্য পাল্টা দাবি করেছেন যে, তিনি শুধু তাঁর সঙ্গে থাকা মহিলাদের অসম্মান করার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।
১২ বছর পর কী রায় দেবে আদালত? সইফের ভবিষ্যৎ কোন পথে?এই মামলা কি সইফের জন্য আরও বিপদ ডেকে আনবে? নাকি তিনি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবেন? এসব প্রশ্নেই এখন মশগুল বলিউড।
