সংবাদ সংস্থা মুম্বই:  ‘তারে জমিন পর’। বহুল প্রশংসিত এই ছবিতে বিশেষ ভাবে সক্ষম বাচ্চাদের সাফল্যের কাহিনি তুলে ধরা হয়েছিল। ছবিতে মুখ্য চরিত্র ঈশান ছিল ডিসলেক্সিয়া রোগে আক্রান্ত। আমির অভিনয় করেছিলেন অঙ্কন শিক্ষক রামশঙ্কর নিকুম্ভের চরিত্রে। তিনি-ই ছিলেন ছবির পরিচালক। ছবিতে ডিসলেক্সিয়া-আক্রান্ত ঈশান অবস্তির চরিত্রে অভিনয় করে রাতারাতি প্রচারের আলোয় চলে আসেন দর্শিল সাফারি। তবে জানেন কি, ‘তারে জমিন পর’-এর মুখ্যচরিত্রে আমিরকে নয় অক্ষয় খান্নাকে ভেবে রেখেছিলেন পরিচালক অমল গুপ্তে। এ ছবি ছিল তাঁর ভাবনাপ্রসূত। পরিচালনা-ও তিনি শুরু করেছিলেন। তবে শেষমেশ নানান সমস্যার কারণে তিনি এই ছবি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। শুধু তাই নয়, অক্ষয়ের কাছে এই ছবির কথা পৌঁছে দেওয়ার বদলে নিজেই ‘তারে জমিন পর’-এর অন্যতম মুখ্যচরিত্রটি বাগিয়ে নেন ‘মি. পারফেকশনিস্ট’! 

 

 

এক সাক্ষাৎকারে এই ঘটনার কথা জানিয়েছিলেন খোদ অক্ষয় খান্না। ‘ছাবা’ অভিনেতার কথায়, “আমিরের সঙ্গে অমল গুপ্তের পরিচয় ছিল। আমার  সঙ্গে ছিল না। অমল ভীষণভাবে চেয়েছিলেন আমি যেন ‘তারে জমিন পর’-এর রামশঙ্কর নিকুম্ভের চরিত্রটিতে অভিনয় করি। যেহেতু আমির আমার সঙ্গে 'দিল চাহতা হ্যায়' ছবিতে অভিনয় করেছিল, তাই অমল ওকে অনুরোধ জানিয়েছিল আমার সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার। এবং বলার যাতে আমি এই ছবির চিত্রনাট্যটি শুনি। এবার আমির তো আমির, ও কী করল...অমলকে জানাল যে সে আগে চিত্রনাট্য শুনবে। কারণ তা না হলে সে কীভাবে আমাকে বলতে পারবে যে চিত্রনাট্যটা ভাল না খারাপ। অতএব, উপায় না দেখে তাই শুনল অমল। ব্যস! ছবির গল্প শোনামাত্রই আমিরের এত পছন্দ হল যে ও তখনই কথা দিয়ে ফেলল এই ছবিতে আমি নয়, ও-ই অভিনয় করবে!”

 

“এর বেশ কিছুদিন পর মেহবুব স্টুডিওতে পাশাপাশি দু’টো সেটে আমি আর ও শুটিং করছিলাম। আমি গেলাম ওঁর কাছে। একথা সেকথার ফাঁকে আমির-ই আমাকে বলেছিল এই ঘটনার কথা – ‘দ্যাখ, তারে জমিন পর-এর গল্প তোর জন্য আমাকে শুনিয়েছিল অমল। কিন্তু শুনেটুনে আমার এত ভাল লাগে যে তোর কাছে ওই চিত্রনাট্যের কথা আর বলিনি। নিজেই নিয়ে নিয়েছি।’ শুনে আমার জবাব ছিল, ঠিক আছে। কোনও সমস্যা নেই।”

 

সেই সাক্ষাৎকারে অক্ষয় খান্না আরও জানিয়েছিলেন যে তাঁর এতটুকুও দুঃখ নেই এই বিষয়ে। কারণ তিনি মনে করেন রামশঙ্কর নিকুম্ভের চরিত্রে আমির যা অভিনয় করেছিলেন, তার ধারেকাছে তিনি পৌঁছতে পারতেন না।