সংবাদ সংস্থা মুম্বই: ‘ঘাতক’ ছবির শুটিং-এর সময় হাঁটুতে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন অভিনেতা এবং প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ পরেশ রাওয়াল। ভর্তি ছিলেন মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সে সময় প্রথাগত চিকিৎসা নয়, হাঁটু ঠিক করতে কাজে এসেছিল তাঁর নিজেরই মূত্র! বিচিত্র শোনালেও নিজের মূত্র নিয়মিত পান করে সুস্থ হয়েছিলেন তিনি, এমনই দাবি করেছেন খোদ অভিনেতা। তবে চমকের শেষ নয় এখানেই। বর্ষীয়ান এই চরিত্রাভিনেতার দাবি, তাঁকে এই চিকিৎসা পদ্ধতির হদিস দিয়েছিলেন অজয় দেবগণের বাবা তথা অধুনা প্রয়াত অ্যাকশন ডিরেক্টর বীরু দেবগণ!
এক সাক্ষাৎকারে পরেশ রাওয়াল জানান, রাজকুমার সন্তোষীর ঘাতক ছবির শুটিং চলাকালীন একটি দৃশ্যে আউটডোর লোকেশনে অভিনয় করাকালীন পা ফসকে হাঁটুতে মারাত্মক চোট পান। সঙ্গে সঙ্গে শুটিং বন্ধ রেখে সেট থেকেই তাঁর দুই বন্ধু যাঁরা ওই ছবির অভিনেতাও ছিলেন — তিঁনি আনন্দ এবং ড্যানি ড্যানজংপা — তাঁকে নিয়ে ছুটে যান মুম্বইয়ের নানাবতী হাসপাতালে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরেশ যারপরনাই চিন্তায় পড়ে যান — তাঁর যদি কাজ বন্ধ হয়ে যায় তাহলে সংসার চালাবেন কিভাবে? তার উপর তাঁর স্ত্রী তখন দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন। ঠিক সেই সময় হাসপাতালে হাজির হন বীরু দেবগণ। এবং একথা সেকথার পর পোরেশকে এক অদ্ভুত পরামর্শ দিলেন – “ভোরে ঘুম থেকে উঠে নিজের প্রথম মূত্র পান করো। আমার সব ফাইটাররা এটাই করে ছোট পেলে...করে দ্যাখো, ব্যথা থাকবে না আর!”
এরকম নিদান শুনে প্রথমে একটু চমকে গেলেও, খানিক দোনোমোনো করে পরেশ ঠিক করেন, যদি এই নিদান মেনে তিনি চলেন তাহলে পুরোদমে চলবেন। নিজেকে বলেছিলেন, “যদি নিজের মূত্র পান করতেই হয়, তাহলে বিয়ারের মতো করে চুমুক দিয়েই খাবো! চটজলদি গিলে নয়।”
তারপর ১৫ দিন ধরে নিয়ম মেনে এই ব্যাপারটি তিনি করলে। এবং এরপর, যখন তাঁর নতুন এক্স-রে করা হয়, চিকিৎসকরাই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। এত দ্রুত অভিনেতার হাঁটুর জখমের আরোগ্য দেখে তাঁরা হতবাক। যেখানে সাধারণত অন্তত দু' থেকে আড়াই মাস লাগার কথা, সেখানে পরেশ রাওয়াল মাত্র দেড় মাসেই সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসেন। আজও এই অভিজ্ঞতার কথা মনে করে পরেশ হাসতে হাসতে বলেন, “একেবারে ম্যাজিকের মতো ছিল ব্যাপারটা!”