নিজস্ব সংবাদদাতা: মুক্তি পেল বাংলা ছবি 'ঝুমুর'। এদিন ছবির প্রিমিয়ারে ছবির কলাকুশলীরা ছাড়াও হাজির হয়েছিলেন দেবশ্রী রায়, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের মতো টলিপাড়ার একাধিক জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বরা।
নারীর লড়াই দিকে দিকে ছড়িয়ে রয়েছে। সেই লড়াইকেই আরও একবার বড়পর্দায় ফুটিয়ে তুলছেন পরিচালক বরুণ দাস। একটি ছাপোষা মেয়ের জীবনযুদ্ধের কাহিনি বলবে 'ঝুমুর'। প্রযোজনায় সত্যরঞ্জন শীল ও রাজশ্রী।
ঝুমুর, একজন আদিবাসী মেয়ের প্রতিবাদের গল্প। দশভূজার মতো সমস্ত অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে জিতে যাওয়ার গল্প। ছবিতে ঝুমুর মুর্মু মেধাবী ছাত্রী। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধূলাতেও সমান দক্ষ। উচ্চ শিক্ষার জন্য সে পৌঁছয় শহরে। ভর্তি হয় শহরের এক নামী বিশ্ব বিদ্যালয়ে। নতুন শহর, নতুন সম্পর্ক, প্রেম, বন্ধুত্ব।
কিন্ত হঠাৎই হোস্টেলের ঘরে এক বান্ধবীর আত্মহত্যা বদলে দেয় ঝুমুরের জীবন। এই আত্মহত্যার কারণ খুঁজতে গিয়ে ঝুমুরের মনে হয়, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে কি মেয়েরা সত্যিই সুরক্ষিত? একদিন নিজের আত্মরক্ষার জন্য ঝুমুরকে লড়াই করতে হয়েছে গ্রামের জঙ্গলের মানুষখেকো শিয়ালের সঙ্গে। কিন্ত আজ কি সে এই শহরের মানুষরূপী নরখাদকদের সাথে লড়াই করতে পারবে? এই উত্তর মিলবে ছবির গল্পে।
প্রযোজনার পাশাপাশি ছবিতে মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে রাজশ্রীকে। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে লাবণী সরকার, খরাজ মুখোপাধ্যায়, রাজেশ শর্মা, সাহেব চট্টোপাধ্যায় ও জন ভট্টাচার্যকে।
'ঝুমুর' সম্পর্কে শ্রাবন্তী বললেন, "ছবির পরিচালক বরুণ দাসের সঙ্গে বহু বছর আগে 'চ্যাম্পিয়ন' ছবিতে কাজ করেছিলাম। নায়িকা হিসাবে আমার প্রথম ছবি। রবিজির সহ-পরিচালক ছিলেন বরুণ। তিনি এখন ছবির পরিচালনা করছেন, তা দারুণ আনন্দের ব্যাপার আমার কাছে। দর্শকের উদ্দেশ্যে বলব, একটু অন্যধরনের ছবি 'ঝুমুর'। আর পাঁচটা গড়পড়তা ছবির মতো নয়। ছবির গোটা টিমের জন্য আমার তরফে রইল শুভেচ্ছা।"
দেবশ্রী রায় বললেন, "বহুদিন ছবি দেখি না। এই ছবির গল্প শুনে মনে হয়েছে বেশ ইন্টারেস্টিং, তাই এলাম।"
ছবির মুখ্য অভিনেত্রী রাজশ্রীর কথায়, "এই ছবিতে অভিনয় করা আমার কাছে সুন্দর অভিজ্ঞতা, আমার প্রায় ২ বছর সময় লেগেছে নিজেকে তৈরি করতে। এই ছবি আমি আদিবাসী মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। তাই আদিবাসী গ্রামে গিয়ে দিনের পর দিন থেকেছি, সেখানকার ভাষা শিখেছি। এছাড়াও মার্শাল আর্টের ট্রেনিং, তলোয়ার চালানো, লাঠি খেলা সবই শিখতে হয়েছে।"
