আজকাল ওয়েবডেস্ক: করিমপুরের শ্রেয়ার গানে আপাতত মজেছেন বাংলার সিনে দর্শকরা। দ্যা একেন - বেনারসে বিভীষিকা ছবিতে তিনি গান গেয়েছেন। রবীন্দ্রভারতীর প্রাক্তন ছাত্রী শ্রেয়া ভট্টাচার্যের এতদিন যাত্রাটা খুব একটা সহজ ছিল না। কলকাতার অত দূর থেকে উঠে আসা শ্রেয়া ছোটবেলায় কোনওদিন ভাবেননি তিনি গানকেই জীবনের পেশা করে তুলবেন। কিন্তু তাঁর জীবনের ঘটনাক্রম তাঁকে এসে দাঁড় করিয়েছে জীবনের নতুন এক মোড়ে ।
শ্রেয়া বলছেন, ''ছোটবেলা কেটেছে গানের পরিবেশে। মা-বাবা দুজনেই গান করেন। ছোটবেলা থেকেই সবরকম গানের মধ্যেই থেকেছি। তখনও কিন্তু ভাবিনি গান নিয়ে পেশার জীবনটাও কেটে যাবে। বড় হওয়ার পর গান নিয়ে কিছু একটা করার সিদ্ধান্তের দিকে এগোই। কলকাতায় আসা পড়াশোনার জন্যই। ফিজিওলজি অনার্স নিয়ে পড়াশোনা শুরু করি। তারপরেই লকডাউন হয়ে যায়। এর আগে, কলকাতায় আসার পরেই আমি ঠিক করেছিলাম, গান নিয়ে এগোব। আমি কলকাতায় এসে জয়ন্ত সরকারের কাছে গান শিখতে শুরু করেছিলাম। লকডাউনের সময় পুরোটাই বাড়িতে থাকা। ফলে আরও যেন মা-বাবার গানের পরিবেশের সঙ্গে জড়িয়ে পড়া। গানের কাছাকাছি চলে আসা। লকডাউন ওঠার পর আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভোকাল মিউজিকে ভর্তি হই। তখন আমি সুতপা বসুর কাছে শিখতাম গান। মাস্টার্সে আমি ফার্স্টক্লাস ফার্স্ট হই। এরপর আমার ট্রেনিং নেওয়া আচার্য জয়ন্ত বসুর কাছে। গুরুজির প্রভাব আমার গানে, আমার জীবনে অত্যন্ত বেশি।''
ছবি প্রসঙ্গে শ্রেয়া আরও জানিয়েছেন, ''এই ছবিতে গান গাওয়ার সুযোগ হঠাৎ করেই আসে। এর আগে 'নানা হে' বলে একটি ছবিতে প্লে-ব্যাক করি। তার কিছুদিন পরেই সুশ্রুত গোস্বামীর কাছ থেকে এই অফারটা আসে। ছবির সঙ্গীত পরিচালক শুভদীপ গুহ আমাকে আরও একটা সুযোগ দেন গান গাওয়ার জন্য। আমি তাঁর কাছে সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। এই ছবিতে গান গাওয়ার অভিজ্ঞতা অনন্য। খুব মজা করে কাজ করেছি আমরা। সবাই মিলে আমাকে সাপোর্ট করেছে, খুঁটিনাটি জিনিস বুঝিয়ে দিয়েছে।''
