আজকাল ওয়েবডেস্ক: যদি সঠিকভাবে নিজের টাকা বাড়াতে চান তাহলে সেখানে আপনার কাছে সেরা অপশন হতে পারে এসআইপি। এখানে বিনিয়োগ যদি হিসেব করে করতে পারেন তাহলে সেখান থেকে আপনি ভাল টাকা রিটার্ন হিসেবে পেতে পারেন।


মাসে ১০ হাজার টাকা আপনি এসআইপি করতে পারেন টাটা মিড ক্যাপ ফান্ডে। এটি আপনাকে করতে হবে ৩১ বছর পর্যন্ত। তাহলেই সেখান থেকে আপনি পেতে পারেন ১১.২৬ কোটি টাকা। এই মোট সময়ে আপনার মোট বিনিয়োগ হবে ৩৭.২০ লাখ টাকা। সেখানে এসআইপি থেকে আপনি সুদ পাবেন ১৭.৬ শতাংশ করে। 


১৯৯৪ সাল থেকে শুরু হয়েছে টাটা মিড ক্যাপ ফান্ড। এখানে মোট অ্যাসেট ভ্যালু রয়েছে ৪৯৬.৯০ টাকা। এখানে এইউএম রয়েছে ৫ হাজার ৫৮ টাকা। এর রেশিও রয়েছে .৬৪ শতাংশ। ফলে সেখানে আপনি বিনিয়োগ করে ভাল লাভের টাকা ঘরে তুলতে পারেন।


এসআইপি (SIP) হল সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান, যা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার একটি পদ্ধতি। এখানে, একজন বিনিয়োগকারী একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর (যেমন মাসিক) একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেন। এটি একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অল্প অল্প করে বিনিয়োগ করার একটি সুশৃঙ্খল উপায়, যা দীর্ঘমেয়াদে ভালো রিটার্ন দিতে পারে।


নিয়মিত বিনিয়োগ: এসআইপি-র মাধ্যমে নিয়মিতভাবে অল্প অল্প করে বিনিয়োগ করা যায়, যা একটি বড় অঙ্কের অর্থ একবারে বিনিয়োগ করার চেয়ে সহজ এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ।


বাজারের ওঠানামার সুবিধা: এসআইপি বিনিয়োগকারীরা বাজারের ওঠানামার সুবিধা নিতে পারেন। যখন বাজার কম থাকে, তখন বেশি ইউনিট কেনা যায়, এবং যখন বাজার বেশি থাকে, তখন কম ইউনিট কেনা যায়।


দীর্ঘমেয়াদী সম্পদ তৈরি: নিয়মিত এসআইপি বিনিয়োগের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদে একটি ভালো সম্পদ তৈরি করা যেতে পারে।


সহজ এবং সুবিধাজনক: এসআইপি-তে বিনিয়োগ করা খুবই সহজ এবং সুবিধাজনক। বিভিন্ন মিউচুয়াল ফান্ড সংস্থা অনলাইনে বা অফলাইনে এসআইপি-র মাধ্যমে বিনিয়োগ করার সুযোগ দেয়।


একটি এসআইপি শুরু করার জন্য, একজন বিনিয়োগকারীকে প্রথমে একটি মিউচুয়াল ফান্ড স্কিম নির্বাচন করতে হবে, এবং তারপর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ (যেমন মাসিক ১০০০ টাকা) বিনিয়োগ করার জন্য একটি এসআইপি শুরু করতে হবে। বিনিয়োগের পরিমাণ এবং সময়কাল একজন বিনিয়োগকারীর আর্থিক লক্ষ্য এবং ঝুঁকির প্রবণতার উপর নির্ভর করে।

আরও পড়ুন: যেখানে সেখানে কিউ আর কোড স্ক্যান করছেন, অজান্তেই ডেকে আনছেন বিপদ


মিউচুয়াল ফান্ড বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন - ইক্যুইটি ফান্ড (Equity fund), Debt Fund, এবং হাইব্রিড ফান্ড (Hybrid fund)। এই ফান্ডগুলি মূলত স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করে, যা তুলনামূলকভাবে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ কিন্তু উচ্চ রিটার্নের সম্ভাবনা থাকে। এই ফান্ডগুলি বন্ড মার্কেটে বিনিয়োগ করে, যা তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিপূর্ণ এবং স্থিতিশীল রিটার্ন প্রদান করে।এই ফান্ডগুলি ইক্যুইটি এবং ডেট উভয় ক্ষেত্রেই বিনিয়োগ করে, যা ঝুঁকি এবং রিটার্নের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখে।


তবে একটা বিষয় মাথায় রাখবেন যেখানেই বিনিয়োগ করবেন সেখানেই আপনি আগে থেকে সমস্ত তথ্য ভাল করে দেখে নিয়ে বিনিয়োগ করতে পারেন। যদি বিনিয়োগ করতে গিয়ে আপনার কোনও সমস্যা হয় বা যদি আপনি কোনও আর্থিক ক্ষতির সামনে পড়েন তাহলে তার দায় আজকাল ডিজিটাল নেবে না।