আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে লারসেন অ্যান্ড টুব্রোর চেয়ারম্যান এসএন সুব্রক্ষণ্যম। এর আগে সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা কাজ করার কথা বলে বিতর্কের জন্ম দেন তিনি। মঙ্গলবার তিনি ফের বিতর্কিত মন্তব্য করেন। 
 

তিনি চেন্নাইতে এক অনুষ্ঠানে বলেন, শ্রমিকরা কিছুতেই গ্রাম ছেড়ে শহরে আসতে চান না। এই কারণেই যে কোনও কাজের ক্ষেত্রে শ্রমিক পাওয়া এত সমস্যার। একইসঙ্গে তিনি এও বলেন, 
জন ধন অ্যাকাউন্টের মতো প্রকল্পগুলি শ্রমিক সংহতিকে প্রভাবিত করে। এমনকী তাঁর এও বক্তব্য, শ্রমিকরা সুযোগ পেলেও অন্যত্র যেতে রাজি নন। এজন্যও তাদের কাজের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে।
 


সুব্রহ্মণ্যম আরও জানান, ভারত বর্তমানে অদ্ভুত সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। তাঁদের সংস্থায় কর্মচারী দরকার প্রায় চার লক্ষ। কিন্তু কর্মীদের চাকরি হারানোর কারণে প্রায় ১৬ লক্ষ কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে। তিনি একইসঙ্গে জানান, মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শ্রমিকদের মজুরি সংশোধন করে থাকেন তাঁরা। 

 

লারসেন অ্যান্ড টুব্রোর চেয়ারম্যান গত মাসে জানিয়েছিলেন, তিনি চান তাঁর কর্মীরা রবিবারেও কাজ করুক। এরপরই তাঁর বক্তব্য, ঘরে বসে কী করেন? কতক্ষণ স্ত্রীয়ের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারেন? অফিসে যান এবং কাজ শুরু করুন। তবে শুধু সুব্রক্ষণ্যমই নন, কর্মজীবনের ভারসাম্য বজায় রাখতে আদর পুনাওয়ালা, আনন্দ মাহিন্দ্রা এবং আইটিসির সঞ্জীব পুরির মতো অনেক শিল্পপতিরাও জানিয়েছেন, সপ্তাহে সর্বোচ্চ কর্মঘণ্টা ৭০ থেকে ৯০ ঘণ্টা করার কোনও প্রস্তাব তাঁরা বিবেচনা করছেন না। 


প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার প্রাক বাজেট আর্থিক সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, সপ্তাহে ৬০ ঘণ্টার বেশি কাজ করলে স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। অনেকের আবার এমনও মন্তব্য, দীর্ঘ সময় ধরে ডেস্কে বসে থাকা মানসিক সুস্থতার জন্য যথেষ্ট ক্ষতিকর। এর পাশাপাশি যারা প্রতিদিন ১২ ঘন্টা বা তারও বেশি সময় ধরে ডেস্কে কাটান তাদের মানসিক সুস্থতার হার বেশ অসন্তোষজনক।