আজকাল ওয়েবডেস্ক: গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১৭ তারিখ থেকে গাড়ির ফাস্ট ট্যাগের নতুন নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে। টোল ট্যাক্সের দেওয়া ও হিসাবের সরলীকরণের তাগিদে এবং বেআইনি লেনদেন আটকাতে এই নতুন ব্যবস্থা বিশেষ ভাবে সাহায্য করবে বলে মনে করছে সংস্থা। পাশাপাশি, টোল গেটে গাড়ির দীর্ঘ লাইন থেকে মুক্তি পেতেও এটি সাহায্য করবেন। ন্যাশনাল পেমেন্ট কন্ট্রোল অফ ইন্ডিয়া (এনপিসিআই) ও কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের তরফ থেকে জারি করা এই নির্দেশিকায় বিশেষ বাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে এই নিয়ম না মানলে গাড়ির টোল ট্যাক্সের পরিমাণ জরিমানা-সহ দ্বীগুণ হতে পারে।
এক নজরে নতুন ফাস্ট ট্যাগের নিয়ম সারণী -
১. টোল গেটে পৌঁছানোর আগে যদি সেই নির্দিষ্ট ফাস্ট ট্যাগটি কালো তালিকাভুক্ত হয়ে থাকে, তা হলে সেটির পেমেন্ট আটকে দেওয়া হবে। আর, স্ক্যানিংয়ের দশ মিনিট আগেও যদি কোনও কারণে ফাস্ট ট্যাগ কালো তালিকাভুক্ত হয়, তা হলেও পেমেন্ট আটকে যাবে।
২. কোনও টোল স্টেশন পার করার ৭০ মিনিট আগে পর্যন্ত একজন ট্যাগ ব্যবহারকারী সময় পাবেন ট্যাগে কোনও সমস্যা থাকলে সেটি ঠিক করার জন্য।
৩. কালো তালিকাভুক্ত ফাস্ট ট্যাগের ব্যবহারকারীদের টোল বুথে পৌঁছলে ট্যাক্সের দ্বীগুণ টাকা দিতে হবে। যদি কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে ব্যবহারকারী বুঝতে পারেন আর সেটিকে ঠিক করার চেষ্টা করেন, তা হলে একটি মানি-ব্যাকের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।
৪. টোল বুথ ছেড়ে যাওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যে যদি কোনওরকম ভাবে ট্যাক্স প্রদানের প্রক্রিয়া না শুরু হয়, তা হলে সেই নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীর থেকে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হবে।
৫. কালো তালিকাভুক্ত বা লো ব্যালান্সের ফাস্ট ট্যাগের ক্ষেত্রে যদি ভুল লেনদেন হয়, তা হলে ব্যাঙ্ক নিয়ম মেনে চার্জ-ব্যাকের ব্যবস্থা করতে পারবে। এর জন্য সর্বোচ্চ ১৫ দিনের ওয়েটিং পিরিয়ড থাকবে।
ফাস্ট ট্যাগ কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার কারণগুলি কী?
ফাস্ট ট্যাগে এ যদি পর্যাপ্ত ব্যালেন্স না থাকে কিংবা পেমেন্ট সঠিক ভাবে না হয় বা কোনও কারণে টোল ট্যাক্স না দেওয়া হয়, কেওয়াইসি-এর বিবরণ ঠিক সময়ে আপডেট না করা থাকে, এমনকী গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বরে কোনও অসঙ্গতি থাকে, তা হলে তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। এই কারণে এনপিসিআই কর্তৃক প্রকাশিত নতুন সার্কুলার অনুসারে, সবসময় পর্যাপ্ত ব্যালেন্স থাকতে হবে। নইলে হবে বিপদ।
