আজকাল ওয়েবডেস্ক: চলতি বছরেরই ফের একবার রেপো রেট কমাতে পারে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (আরবিআই)। সম্ভব অগাস্টে রেপো রেট কমানোর ঘোষণা করা হতে পারে। বিশ্ব অর্থনীতিতে অনিশ্চতা বৃদ্ধি ও শহরাঞ্চলের চাহিদা হ্রাসের ফলেই রেপো রেট কমানো মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বিবেচনাস্তরে রয়েছে আরবিাই-এর। আপাতত, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক একটি নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করছে এবং তথ্য-ভিত্তিক পদ্ধতির ভিত্তিতে এগিয়ে চলেছে।
আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের এক রিপোর্ট অনুসারে, আসন্ন অগাস্টের আরবিআই-য়ের মুদ্রানীতি কমিটি কমিটির সভায় রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত হতে পারে। সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে রেপো রেট কমে দাঁড়াবে ৫.২৫ শতাংশ।
প্রতিবেদনে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে, ভারতে বৃদ্ধির সম্ভাবনা মিশ্র রয়ে গিয়েছে। শহরাঞ্চলে চাহিদা দুর্বল হলেও গ্রামীণ চাহিদা এখনও শক্তিশালী রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে উন্নতি দেখা যাচ্ছে, তবে অন্যান্য অঞ্চলে রপ্তানি দুর্বলই রয়ে গিয়েছে। এই প্রবণতা বজায় থাকলে এবং বর্তমান মুদ্রাস্ফীতি পরিস্থিতি বিবেচনা করে, মনে করা হচ্ছে যে, আসন্ন অগাস্ট মাস সুদহার কমানোর জন্য উপযুক্ত সময়।
আরও পড়ুন- একবার মাত্র প্রিমিয়াম দিলেই কেল্লাফতে, ৪০ বছর বয়স থেকে মিলবে মাসিক পেনশন
আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, "আমরা বিশ্বাস করি এটি অতিরিক্ত ২৫ বেসিস পয়েন্ট হার কমানোর জন্য নীতিমালার সুযোগ উন্মুক্ত করে, যার ফলে টার্মিনাল রেট ৫.২৫ শতাংশে নেমে আসবে। এমপিসি কখন নীতিমালার হার কমাবে? আমরা বিশ্বাস করি যে নীরব মুদ্রাস্ফীতির পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগস্ট মাসই এর জন্য উপযুক্ত সময় হবে।"
মুদ্রাস্ফীতি ত্রৈমাসিক অনুমানের চেয়ে কম ছিল
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে মুদ্রাস্ফীতির পরিসংখ্যান MPC (আর্থিক নীতি কমিটি) -এর অনুমানের চেয়ে ২০ বেসিস পয়েন্ট কম ছিল। যা প্রমাণ করে যে, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আরবিআই-এর প্রচেষ্টা সফল হচ্ছে।
আগামী-তে কম থাকার আশা করা হচ্ছে
দ্বিতীয় এবং তৃতীয় প্রান্তিকেও মুদ্রাস্ফীতি MPC-এর অনুমানের চেয়ে কম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
খাদ্য মূল্যস্ফীতির ঐতিহাসিক হ্রাস
খাদ্য মূল্যস্ফীতি বার্ষিক ভিত্তিতে -১.১ শতাংশে নেমে এসেছে, যা গত সাত বছরের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল স্তর। এটি গ্রাহকদের জন্য বড় স্বস্তির খবর।
সবজির দামে বিশাল হ্রাস
এর মধ্যে রয়েছে সবজির দামে ১৯ শতাংশ হ্রাস। এটি কৃষক এবং গ্রাহক উভয়ের জন্যই একটি জটিল পরিস্থিতি, তবে সামগ্রিকভাবে, এটি মুদ্রাস্ফীতি হ্রাসে সহায়তা করে।
ভাল বৃষ্টিপাত এবং শস্য উৎপাদন
এ বছর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, যার কারণে শস্য উৎপাদন বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি ভবিষ্যতে খাদ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করবে।
আইসিআইসি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, যখন মূল মুদ্রাস্ফীতি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে তখন স্বল্পমেয়াদে মুদ্রাস্ফীতির পরিসংখ্যান কম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে অন্যান্য অঞ্চলে রপ্তানি ধীরগতির, যা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তাকে প্রতিফলিত করে।
আরও পড়ুন- বাজারে আসছে সোনার নতুন ক্যারাট, মধ্যবিত্তের মুখে ফিরল চওড়া হাসি
