আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতে বাড়ছে মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগ। এএমএফআই-এর একটি রিপোর্ট থেকে এমন তথ্যই সামনে আসছে। সেখান থেকে দেখা গিয়েছে ২০২৫ সালে যে আর্থিক বছর শেষ হয়েছে সেখানে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এটি চলে গিয়েছে ৬৫.৭৪ লাখ কোটি টাকাতে।
গত বছরের তুলনায় এটি ২৩.১১ শতাংশ বেশি। গত বছরে এই টাকার অঙ্ক ছিল ৫৩.৪০ লাখ কোটি টাকা। সেখান থেকে এর হার অনেকটা বেড়েছে। দেশের প্রধান ৫ টি শহরে মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগ বেড়েছে। এই তালিকায় রয়েছে মুম্বই, নিউ দিল্লি, বেঙ্গালুরু, পুনে এবং কলকাতা।
সম্প্রতি যে রেকর্ড সামনে এসেছে সেখান থেকে দেখা গিয়েছে মোট বৃদ্ধির ২৭ শতাংশ এসেছে মুম্বই থেকে, দিল্লিতে হয়েছে ১২.৬৩ শতাংশ, বেঙ্গালুরুতে হয়েছে ৫.৩৯ শতাংশ, পুনে এবং কলকাতা উভয়ের ক্ষেত্রে হয়েছে ৩.৪৯ শতাংশ।
যে তথ্য সামনে এসেছে সেখান থেকে দেখা গিয়েছে কম বয়সী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে। তারা ভয়হীনভাবে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে শুরু করেছেন। তারা বেশি ঝুঁকি নিতেও তৈরি রয়েছেন। এই নতুন ভারতের যুবরা প্রতিটি পদক্ষেপ হিসেব করে নিয়েছেন। ফলে তাদের কাছে মিউচুয়াল ফান্ড একটি বিরাট সুযোগ হিসেবে সামনে এসেছে।
ভারতে মিউচুয়াল ফান্ডে মহিলাদের বিনিয়োগের হারও নজরে পড়ার মতো। ২০২৫ অর্থবর্ষে এই হার ২৫.৯১ শতাংশ হয়েছে। এটি গত বছরের তুলনায় ২৪.২ শতাংশ বেশি। রিপোর্ট থেকে দেখা গিয়েছে যেসব মহিলারা কর্মরত তারা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে সেখান থেকে নিজেদের জীবনকে গড়ে তুলছেন। এটি নারীশক্তির একটি বিরাট দিক।
বিশ্বের বাজারে সোনার দাম লাফিয়ে বাড়ছে। তবে তাতে কোনও প্রভাব পড়েনি ভারতের বাজারে। এখানে সোনার দাম বাড়লেও সেখানে সোনা ক্রয়ে কোনও খামতি দেখা যায়নি। ফলে সোনার ব্যবসায়ীরা লাভ পেয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে মিউচুয়াল ফান্ডেও।
বিনিয়োগকারীরা এসআইপি-তে বিনিয়োগ করছেন নির্ভয় হয়েই। ২০২৫ অর্থবর্ষে এই বিনিয়োগের পরিমান প্রায় ২.৮৯ লাখ কোটি টাকা। এটি গত বছরের তুলনায় ৪৫.২৪ শতাংশ বেশি। পাশাপাশি নিত্যনতুন এসআইপি স্কিম থেকেও লোকে প্রচুর মুনাফা করছেন। ২০২৪ সালে যেখানে এই হিসেব ছিল ৪.২৮ কোটি টাকা। সেখানে ২০২৫ সালে তা হয়েছে ৬.৮০ কোটি টাকা।
