আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০২৫ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ সময়সীমা পার হয়ে গেছে। এখন অনেক করদাতার চোখ অপেক্ষায়—কবে হাতে আসবে কাঙ্ক্ষিত রিফান্ড। বিশেষত যারা বড় অঙ্কের রিফান্ড, যেমন ৫০ হাজার টাকার বেশি, পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন, তাঁদের মনে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে—এই অঙ্ক কি আয়কর দপ্তর আটকে দেয় বা বিলম্ব করে?
আয়কর আইন অনুযায়ী, আয়কর রিফান্ডের কোনও সর্বোচ্চ সীমা নেই। রিফান্ড ৫ হাজার হোক বা ১ লক্ষ টাকার বেশি, প্রক্রিয়া একেবারেই একই থাকে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বড় অঙ্কের রিফান্ড কখনও কখনও অতিরিক্ত যাচাইয়ের মধ্যে পড়তে পারে। ফলে অর্থ জমা হতে কিছুটা সময় বেশি লাগতে পারে।
যাঁরা সময়সীমার আগেই রিটার্ন দাখিল করেছিলেন, তাঁদের ক্ষেত্রে রিফান্ড প্রক্রিয়া অনেক দ্রুত হয়েছে। অনেকেই রিটার্ন জমা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ই-ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ করেছেন এবং কয়েক দিনের মধ্যেই অর্থ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পেয়েছেন। এমনকি কারও কারও ক্ষেত্রে একই দিনে রিফান্ড জমা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৭৫ বছরেও কীভাবে এত ফিট ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দেখে নিন ডায়েট চার্ট
অন্যদিকে, যারা শেষ মুহূর্তে— অর্থাৎ ১৫ বা ১৬ সেপ্টেম্বর— রিটার্ন জমা দিয়েছেন, তাঁদের সমস্যায় পড়তে হয়েছে। শেষ দিনে পোর্টালে ভিড় এতটাই বেশি ছিল যে ই-ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ হতে অনেকের ক্ষেত্রে দুই দিন পর্যন্ত লেগে গেছে। এর ফলে রিফান্ড প্রক্রিয়াও স্বাভাবিকভাবে বিলম্বিত হয়েছে।
আয়কর দপ্তরের নির্দেশিকা অনুযায়ী, অধিকাংশ রিফান্ড ই-ভেরিফিকেশনের দুই থেকে পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে প্রদান করা হয়। তবে এটি নির্ভর করে রিটার্ন কতটা জটিল বা সহজ তার উপর। উদাহরণস্বরূপ, শুধু বেতনের আয় এবং স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন থাকা রিটার্ন খুব দ্রুত প্রক্রিয়াকৃত হয়। অন্যদিকে ব্যবসায়িক আয়, মূলধন লাভ বা একাধিক ছাড় দাবিকৃত রিটার্ন অতিরিক্ত যাচাইয়ের মধ্যে যায়, ফলে সময়ও বেশি লাগে।
বিলম্বের অন্যতম বড় কারণ হল ভুল বা অসম্পূর্ণ তথ্য। অনেক সময় প্যান, আধার, বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য মিলছে না বা সঠিকভাবে ভ্যালিডেট করা হয়নি। কারও ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ, IFSC কোড অকার্যকর, বা TDS ডেটায় অসঙ্গতি দেখা যায়। এগুলি থাকলে রিফান্ড প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিকভাবেই দেরি হয়। আবার রিটার্ন যদি বিশেষ কারণে স্ক্রুটিনির আওতায় আসে, তবে তাতেও রিফান্ড আটকে যেতে পারে।
সহজভাবে বললে, রিফান্ডের অঙ্ক যত বড়ই হোক না কেন, সেটি আটকে দেওয়া হয় না। সব তথ্য যদি সঠিক থাকে এবং প্যান-আধার সংযুক্ত থাকে, তবে নির্দিষ্ট সময়ে টাকা জমা হয়ে যাবে। বড় রিফান্ড কেবল বাড়তি চেকিংয়ের কারণে সামান্য সময় নিতে পারে। তাই যারা দ্রুত রিফান্ড চান, তাঁদের জন্য সেরা উপায় হল শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা না করে যথাসম্ভব আগে রিটার্ন ফাইল করা। সময়মতো ফাইল করলে শুধু ঝামেলাই কমে না, দ্রুত হাতে আসে প্রাপ্য রিফান্ডও।
