আজকাল ওয়েবডেস্ক: পিপিএফ বা পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড, ভারতীয় নাগরিকদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত একটি নিরাপদ, দীর্ঘমেয়াদী সঞ্চয় বিকল্প। এই প্রকল্পটি বিশেষ করে তাদের জন্য উপকারী যারা কম ঝুঁকি-সহ নিশ্চিত রিটার্ন চান। দেশের যেকোনও ব্যাঙ্ক বা ডাকঘরে একটি পিপিএফ অ্যাকাউন্ট সহজেই খোলা যেতে পারে। এই অ্যাকাউন্টে সর্বনিম্ন বার্ষিক আমানত ৫০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১.৫০ লক্ষ টাকা। বিনিয়োগকারীরা সারা বছর ধরে কিস্তিতে অথবা এককালীন ভিত্তিতে টাকা জমা করতে পারেন।
সরকার বর্তমানে পিপিএফ-এ ৭.১ শতাংশ বার্ষিক সুদ দিচ্ছে। এই হার ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে সংশোধিত হয়। এই সুদের হার সম্পূর্ণ নিরাপদ কারণ বিনিয়োগটি সরকার দ্বারা সুরক্ষিত। একটি পিপিএফ অ্যাকাউন্ট ১৫ বছর পরে পরিপক্ক হয়, তবে বিনিয়োগকারীরা সেটি পাঁচ বছরের মেয়াদে বাড়িয়ে নিতে পারেন। এটি অ্যাকাউন্টটিকে সর্বোচ্চ ৫০ বছর ধরে চালু রাখতে দেয়। অ্যাকাউন্টটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ন্যূনতম বার্ষিক ৫০০ জমা রাখা বাধ্যতামূলক। যদি এই ন্যূনতম আমানত কোনও বছরে পূরণ না হয়, তাহলে অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেওয়া হয়, ফলে পরবর্তী পুনঃসক্রিয়করণ প্রক্রিয়া প্রয়োজন হয়।
পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খোলার তৃতীয় আর্থিক বছর থেকে ষষ্ঠ আর্থিক বছর পর্যন্ত বিনিয়োগকারীরা তাদের আমানতের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন। তদুপরি, পাঁচ বছর পরে আংশিক টাকা তুলতে পারা যায়। ফলে অ্যাকাউন্টের মোট ব্যালেন্সের ৫০ শতাংশ তোলা সম্ভব হয়। এই সুবিধা পিপিএফ'কে একটি নমনীয় এবং কার্যকর বিনিয়োগের উপকরণ করে তোলে।
যদি কোনও বিনিয়োগকারী পিপিএফ-এ বার্ষিক এক লক্ষ টাকা জমা করেন এবং দীর্ঘমেয়াদে তাদের সম্পদ বৃদ্ধি করতে চান, তাহলে পিপিএফ একটি লাভজনক বিকল্প হিসেবে প্রমাণিত হয়। অনুমান অনুসারে, ২৫ বছর ধরে বার্ষিক এক লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করলে প্রায় ৬৮,৭২,০১০ টাকার নিশ্চিত রিটার্ন পাওয়া যায়। এর মধ্যে মোট ২৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ এবং প্রায় ৪৩,৭২,০১০ টাকার সুদ অন্তর্ভুক্ত। ঝুঁকিমুক্ত এবং স্থিতিশীল রিটার্নের কারণে, পিপিএফ সাধারণ বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে কর্মরত ব্যক্তি সকলের কাছে জনপ্রিয়। বিনিয়োগ এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য, আপনার নিকটতম ব্যাঙ্ক শাখা বা ডাকঘরে যোগাযোগ করুন।
