আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাংলায় এসআইআর শুরু হওয়ার আগে অভিষেক ব্যানার্জি এক ভার্চুয়াল বৈঠকে দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, এনুমারেশন ফর্মের কাজ করার সময় এক মিনিটও বিএলও-দের একা ছাড়া যাবে না।
সব সময় ছায়ার মতো তাঁদের সঙ্গে লেগে থাকতে হবে। আর নির্বাচন কমিশনের এই পরিসংখ্যানে দেখা গেল বিএলএ অর্থাৎ বুথ লেভেল এজেন্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে বিরোধী দল বিজেপিকে অনেকটাই পিছনে ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
বুথ ভিত্তিক এজেন্টদের উদ্দেশ্যে অভিষেকের নির্দেশ, এসআইআর প্রক্রিয়া চলাকালীন বিএলও-দের ছায়াসঙ্গী হয়ে থাকতে হবে। এক মিনিটও তাঁদের একা ছাড়বেন না। কোনও বিএলও যেন অনৈতিক কাজ না করতে পারেন, তা দেখার দায়িত্ব বিএলএ-দের।
নির্বাচন কমিশনের পরিংখ্যান বলছে, রাজ্যে বিজেপির বিএলএ-২ রয়েছে ৪৮,৬৩৫ জন। অন্যদিকে, তৃণমূলের বিএলএ-২ রয়েছে ৫৪,৩১০ জন।
স্থানীয় স্তরে বিএলও-এর সঙ্গে রয়েছেন বিভিন্ন দলের বুথ লেভেল এজেন্টরা। বাংলায় এসআইআর চলাকালীন রাজ্যজুড়ে এজেন্ট দেওয়ার ক্ষেত্রেও বিজেপিকে পিছনে ফেলেছে রাজ্যের শাসক দল।
উল্লেখ্য, এসআইআর শুরু হওয়ার সময় নির্বাচন কমিশনের তরফে বিএলও-দের সঙ্গে বিএলএ-১ থাকতে পারতেন।
কমিশনের নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল এই বুথ লেভেল এজেন্টদের হতে হবে সেই সংশ্লিষ্ট বুথের ভোটার। কিন্তু সেই নির্দেশিকায় সব বুথে সব দলের এজেন্ট দেওয়া যাচ্ছিল না।
সে কারণে পরবর্তীতে কমিশনের তরফে আরও একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। সেখানে জানানো হয়, বিএলও-২ এর কথা।
জানানো হয়, বিএলএ-২ যাঁরা হবেন তাদের সেই বুথের নয়, সংশ্লিষ্ট বিধানসভার ভোটার হলেই হবে। কিন্তু সেই পরিসংখ্যানেও বিজেপিকে পিছনে ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে এসআইআর শুরু হওয়ার পর গত ১০ দিনে জমা পড়েছে ৬ লক্ষ এনুমারেশন ফর্ম।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক দপ্তর সূত্রে খবর, অনলাইন ও ডিজিটাল মাধ্যমে ইতিমধ্যে প্রায় ৬ লক্ষ এনুমারেশন ফর্ম জমা পড়েছে।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেল ৬টা পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে বিএলও-রা মোট ৭ কোটি ২৭ লক্ষ ফর্ম বিতরণ করেছেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে পাওয়া পরিংখ্যান অনুযায়ী, এটি মোট ফর্মের ৯৪.৯১ শতাংশ। তবে এনুমারেশন ফর্ম বিতরণের সময় অনেক এলাকাতেই বাড়ি বাড়ি গিয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে খবর নির্বাচন কমিশন সূত্রে।
কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, বাড়িতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি না থাকার দরুন যে সমস্ত ফর্ম বিলি করা যায়নি সেগুলোকেও ‘বিতরণ করা হয়েছে’ বলে গণ্য করা হবে।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, যেসব ফর্ম ফেরত যাবে, সেগুলিকেও রিটার্ন টু ERO (ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার) হিসেবে ধরে নেওয়া হবে।
কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, বিএলও অফিসারদের পোর্টালে যুক্ত করা হয়েছে ‘Uncollectible’ নামে একটি নতুন অপশন। এই অপশন ব্যবহার করে বিতরণ না হওয়া ফর্মগুলোকেও সিস্টেমে ‘ডিস্ট্রিবিউটেড’ হিসেবে দেখানো যাবে।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ফর্ম বিতরণ এবং জমা পড়ার পর যাদের নাম বাদ যাবে তালিকা থেকে বা অন্য কোনও ভুল থাকবে সেই ভোটাররা আগামী ৯ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন জানাতে পারবেন।
