আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাজ্যের অন্য চার বিধানসভার সঙ্গে উপনির্বাচনে নৈহাটি ও হাড়োয়া কেন্দ্রে ব্যাপক ভোটে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। নৈহাটিতে ছয় রাউন্ড গণনার শেষে তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে প্রায় ৩০ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্রে শাসক দলের প্রার্থী শেখ রবিউল ইসলামও চতুর্থ রাউন্ড গণনার শেষে এগিয়ে রয়েছেন ৩০ হাজার ভোটে। অন্য চার বিধানসভা কেন্দ্রেও তৃণমূল প্রার্থীদের এগিয়ে থাকার খবর মিলেছে। 

গত ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ছয় বিধানসভা কেন্দ্র–নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর, তালডাংরা, সিতাই ও মাদারিহাটে উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। শনিবার সকাল আটটা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়। প্রথমে পোস্টাল ব্যালট গণনা শুরু হয়। প্রথম রাউন্ড থেকেই দেখা যায়, শাসকদল তৃণমূল বিরোধীদের পিছনে ফেলে এগিয়ে রয়েছে। ব্যালট পেপার গণনা শেষ হওয়ার পর ইভিএমে ভোট গণনা শুরু হয়। ধাপে ধাপে গণনা যত এগিয়েছে, তৃণমূলের ব্যবধান বেড়েই চলেছে। 

নৈহাটিতে মোট ১০ রাউন্ড ভোট গণনা হবে। সকাল ১০টা পর্যন্ত ছয় রাউন্ড গণনা শেষ হয়েছে। তাতে তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে বিরোধীদের পিছনে ফেলে ৩০ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্রে চার রাউন্ড গননা শেষ হয়েছে। তাতে দেখা যায়, তৃণমূল প্রার্থী শেখ রবিউল ইসলামও ৩০ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। মেদিনীপুর, তালরাংরা, সিতাই ও মাদারিহাটেও তৃণমূল প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল মাদারিহাট কেন্দ্রে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জয়ী হয়েছিল। সাড়ে তিন বছর ঘুরে উপনির্বাচনে সেই মাদারিহাট কেন্দ্রে বিজেপি এবার পিছিয়ে পড়েছে। সেখানে ধাপে ধাপে এগিয়ে চলেছেন তৃণমূল প্রার্থী। ভোট গণনা কেন্দ্র থেকে জয়ের খবর আসতেই বাইরে শাসকদলের কর্মী–সমর্থকেরা সবুজ আবিরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ শুরু করেছেন। 

রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘‌মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বাংলার মানুষের জন্য যা কিছু কল্যাণকর কাজ করেছেন, তারই সুফল ভোট বাক্সে পড়ছে। বিজেপি ও সিপিএম অনেক অপপ্রচার করেছে। কিন্তু মানুষের সব মেনে নেয়নি। মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে রয়েছে। উপনির্বাচনের ফলের গতি প্রকৃতিতে ফের তা প্রমাণিত হতে চলেছে।’‌