আজকাল ওয়েবডেস্ক: দুর্গাপুরে চাঞ্চল্যকর ধর্ষণকাণ্ডে নয়া মোড়। ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। সূত্রের খবর, গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিদের লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ঘটনার তদন্তে কোনও ত্রুটি না রাখতেই এবার ড্রোন ক্যামেরার সাহায্যে পুরো ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে ফরেন্সিক টিম নমুনা সংগ্রহ করছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
এই ঘটনায় এখন রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। প্রশাসনিক তদন্তের পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলেও উত্তাপ ছড়িয়েছে। এদিকে নির্যাতিতা আপাতত সুস্থ আছেন বলে চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ইতিমধ্যেই এই ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর তরফে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে চিঠি দিয়ে আনুষ্ঠানিক আবেদন জানানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রয়োজন হলে আরও কিছু ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হতে পারে। গোটা ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চলছে এবং দোষীদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হবে।
আরও পড়ুন: আর কয়েক ঘণ্টা, বর্ষার ভোগান্তি শেষ! আগামী সপ্তাহেই বাংলায় শীতের আমেজ? রইল আবহাওয়ার মেগা আপডেট
শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরে বেসরকারি এক মেডিক্যাল কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের এক ডাক্তারি পড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগে চরম চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। অভিযোগ, শুক্রবার রাত সাড়ে আটটা থেকে ন’টার মধ্যে শোভাপুরের কাছে অবস্থিত ওই বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের এক তরুণী ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায় একদল যুবক এবং পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করা হয়।
জানা গিয়েছে, ওড়িশার জলেশ্বরের বাসিন্দা ওই তরুণী দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়া। শুক্রবার রাতে তিনি সহপাঠী এক ছাত্রের সঙ্গে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, সেই সময়ে খেতে বেরিয়েছিলেন তিনি। সেই সময়ে হঠাৎই পাঁচজন যুবক এসে তাদের পথ আটকায়। অভিযোগ, জোর করে ওই তরুণীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায় তারা এবং কলেজ সংলগ্ন এক নির্জন জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে।
ঘটনার খবর পেয়ে দুর্গাপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং এলাকায় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে পুলিশের একাধিক দল তল্লাশি শুরু করেছে।
এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে। কলেজ চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। স্থানীয় বাসিন্দারা দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন।
