আজকাল ওয়েবডেস্ক: ৪ নভেম্বর থেকে বাংলায় শুরু হয়েছে বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর। 
আর নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হল, রাজ্যে এসআইআর শুরু হওয়ার পর গত ১০ দিনে জমা পড়েছে ৭ কোটি এনুমারেশন ফর্ম।

রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক দপ্তর সূত্রে খবর, অনলাইন ও ডিজিটাল মাধ্যমে ইতিমধ্যে প্রায় ৬ লক্ষ এনুমারেশন ফর্ম জমা পড়েছে। 

রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেল ৬টা পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে বিএলও-রা মোট ৭ কোটি ২৭ লক্ষ ফর্ম বিতরণ করেছেন। 

নির্বাচন কমিশনের পরিংখ্যান অনুযায়ী, এটি মোট ফর্মের ৯৪.৯১ শতাংশ। তবে এনুমারেশন ফর্ম বিতরণের সময় অনেক এলাকাতেই বাড়ি বাড়ি গিয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে খবর নির্বাচন কমিশন সূত্রে। 

কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, বাড়িতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি না থাকার দরুন যে সমস্ত ফর্ম বিলি করা যায়নি সেগুলোকেও ‘বিতরণ করা হয়েছে’ বলে গণ্য করা হবে। 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, যেসব ফর্ম ফেরত যাবে, সেগুলিকেও রিটার্ন টু ERO (ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার) হিসেবে ধরে নেওয়া হবে। 

কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, বিএলও অফিসারদের পোর্টালে যুক্ত করা হয়েছে ‘Uncollectible’ নামে একটি নতুন অপশন। 

এই অপশন ব্যবহার করে বিতরণ না হওয়া ফর্মগুলোকেও সিস্টেমে ‘ডিস্ট্রিবিউটেড’ হিসেবে দেখানো যাবে। 
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ফর্ম বিতরণ এবং জমা পড়ার পর যাদের নাম বাদ যাবে তালিকা থেকে বা অন্য কোনও ভুল থাকবে সেই ভোটাররা আগামী ৯ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন জানাতে পারবেন। 

এই সময়ের মধ্যে ভোটাররা নাম সংযোজন, সংশোধন বা বাতিলের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন সংশ্লিষ্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারের কাছে। জানা গিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের তরফে ইভিএম মেশিন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করা হয়েছে। 

তবে কমিশন জানিয়েছে, প্রায় ৩০% বাসিন্দার বাড়ি ফাঁকা পাওয়া গিয়েছে। শুধু গ্রাম নয়, শহরাঞ্চলের অনেক এলাকাতেও মানুষের অনুপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। 

প্রায় ৩০% বাসিন্দাকে ‘untraceable’- এর তালিকায় গণ্য করা হয়েছে। অনেকেই বাড়ি বদল করেছেন বা অন্যত্র ট্রান্সফার হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। 

নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, মেদিনীপুর, খড়গপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, আসানসোল সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় এই ছবি ধরা পড়েছে। 

এর আগে গত ৫ থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ পরিদর্শন করেছিল ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশনের একটি বিশেষ কমিটি। 

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, তেমনই এবারেও কমিশনের তরফে একটি বিশেষ দল পাঠানো হবে সাময়িক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে।