আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফের লাইনচ্যুত হল ট্রেন। শালিমারে ঢোকার আগে নলপুরের কাছে লাইনচ্যুত হয় শালিমার–সেকেন্দ্রাবাদ এক্সপ্রেস। জানা গেছে, ট্রেনটির অন্তত তিনটি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে। শনিবার ভোর ৫.৪৫ নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। জানা গেছে, লাইনচ্যুত কামরার মধ্যে একটি ছিল পার্সেল ভ্যান। যদিও ঘটনায় হতাহতের খবর নেই। তবে দুর্ঘটনার জেরে দক্ষিণ–পূর্ব শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে।
রেল সূত্রে জানা গেছে, ডাউন শালিমার–সেকেন্দ্রাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনটি সেকেন্দ্রাবাদ থেকে শালিমারের দিকে আসছিল। নলপুরের কাছে ট্রেনের গতি কম থাকায় বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটেনি। খবর পেতেই ঘটনাস্থলে যান দক্ষিণ–পূর্ব রেলের আধিকারিকরা। যাত্রীরা সকলে সুরক্ষিত বলে রেল সূত্রে খবর।
রেল সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, যে লাইনে ট্রেনটির ঢোকার কথা ছিল, সেখানে না ঢুকে পাশের লাইনে চলে গিয়েছিল ইঞ্জিন। সেই কারণেই এই দুর্ঘটনা। ট্রেনটির গতি কম থাকায় এ যাত্রায় রক্ষা পাওয়া গিয়েছে।
এদিকে, দুর্ঘটনার জেরে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হওয়ায় ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেন থেকে অনেকে হেঁটেই গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন। লাইনচ্যুত কামরাগুলি সরানোর কাজ চলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে দেরি হবে বলে রেল সূত্রে খবর। উদ্ধারকারী ট্রেন ও মেডিক্যাল টিম সাঁতরাগাছি ও খড়গপুর থেকে দুর্ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দিয়েছে। যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য বাসের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে ওড়িশার বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সঙ্গে মালগাড়ি এবং প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ধাক্কায় অন্তত ২৯৬ জন মারা যায়। তার পর আরও একাধিক ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে।
