আজকাল ওয়েবডেস্ক: মালদার মানিকচকের ভাঙন ও বন্যা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আশঙ্কা। ভুতনী চরের তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় দেড় লক্ষের বেশী বাসিন্দা দেড় মাস ধরে গঙ্গার জলে প্লাবিত হয়ে রয়েছেন। জলে ইতিমধ্যে নয়জন তলিয়ে গিয়েছে বলে খবর সূত্রের। এই পরিস্থিতির পর, গঙ্গার জলস্তর আরও বাড়তে পারে, এমনই সতর্কতা জারি করা হয়েছে সেচ দপ্তরের তরফ থেকে।
সকাল থেকে প্রশাসনর পক্ষ থেকে এলাকা থেকে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। এলাকাবাসীকে সর্তক করার জন্য মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র সামাজিক মাধ্যমে সাবধান ও সর্তক থাকার বার্তা দিয়েছেন। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হতে চলেছে বলে জানান তিনি। প্রশাসন সজাগ রয়েছে। তবুও গঙ্গার অববাহিকা দিয়ে ২৬লক্ষ কিউসেক জল প্রবাহিত হবে। ফলে গঙ্গার জলস্তর বৃদ্ধি পাবে। তাই এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য এলাকাবাসীকে তৈরী থাকার আবেদন জানিয়েছেন।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি গভীর রাতে পরিস্থিতির কথা জেনে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলেই খবর সূত্রের।
এলাকার বাসিন্দা শিবু মণ্ডল জানান, 'পরিস্থিতি ভালো নেই। এলাকার একতলা বাড়ি জলের তলায়। দুইদিন আগে পাট ছাড়াতে গিয়ে আমার ভাই জলে তলিয়ে যায়। প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে জলবৃদ্ধির জন্য সব শেষ হয়ে যাচ্ছে। শুখা মরসুমে কাজ করলে পরিস্থিতি এমন হত না। কেন্দ্র ও রাজ্য যৌথভাবে নদীপাড় না বাঁধলে সমস্যা সমাধান হবে না।'
পাশাপাশি এলাকা ছেড়ে বাসিন্দা অন্যত্র সরে যাচ্ছেন। এলাকার বাসিন্দা মনোজ মহালদার জানান, 'নিজেরাই এলাকা ছাড়ছি।' আরও এক গ্রামবাসী আজাদ আলী বলেন, 'জল বাড়ছে। পরিস্থিতি ভাল নেই। তাই এলাকা ছাড়ছি।'
এই পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান তথা রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখার্জি। তিনি বলেন, '৫৬বছর পর নেপাল বিহার সীমান্তের কোশি ব্যারেজের সমস্ত গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। এটা বিজেপির একটা চক্রান্ত। একদিকে দক্ষিণবঙ্গের ডিভিসি অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন ব্যারেজের গেট খুলে বাংলাকে ভাসিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করেছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ত্রানের ব্যবস্থা করেছেন। প্রত্যেকটা বাড়িতে ত্রান দিয়েছেন। কোনও মানুষকে বঞ্চিত করা হয়নি।'
