তীর্থঙ্কর দাস: দু’ দশক। ২০ বছর ধরে বাঁশ শিল্পে অভিনবত্ব নিয়ে আসার চেষ্টা করে চন্দননগরের বাসিন্দা। জোড়াসাঁকোয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি হোক বা ব্রিটিশ আমলের পুরনো রেল ইঞ্জিন, টাইটানিক জাহাজ, আইফেল টাওয়ার, কলকাতার ট্রাম, হাওড়া ব্রিজ, দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির, কালীঘাটের কালী মন্দির, লাল কেল্লার মতন প্রায় ১৫০০ এরও বেশি জিনিসের রেপ্লিকা বানিয়েছেন গণেশ ভট্টাচার্য। 

বাঁশের টুকরো ব্যবহার করেই প্রতিটা জিনিস বানিয়েছেন তিনি। আজকাল ডট ইন-কে তাঁর কাজ সম্পর্কে গণেশ জানিয়েছেন, 'বাঁশ শিল্প প্রায় বিলুপ্তির পথে। আজ থেকে ১৯ বছর আগে আমার আগ্রহ জাগে তখন আমি একটা জিনিস লক্ষ করেছিলাম, যে বাঁশের কাজ অনেকেই করেন।ঝুড়ি, সাজি, ফুলদানি মুখোশ এগুলো আমরা মেলায় দেখতে পাই। আমার মতে ব্যতিক্রমী চিন্তাধারাই পরিবর্তন আনে, তাই আমি বাকিদের থেকে আলাদা কিছু করার চেষ্টা করেছিলাম। আমি তাই নিজেকে সর্বসত্তা অনুকরণে ভাবিত করেছি, মানে আমি যা দেখব তাই বানাব।' 

ভারতীয় রেলের প্রতি আলাদা ভালোবাসা গণেশের। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম পরিষেবার মধ্যে পড়ে ভারতীয় রেল পরিষেবা। প্রায় ১৯ টি ভারতীয় রেলের ইঞ্জিনের রেপ্লিকা বানিয়েছেন চন্দননগরের এই শিল্পী। রেল মিউজিয়াম বা সংগ্রহশালা প্রতিটা রাজ্যে রয়েছে যেখানে ৫ থেকে ১০ টি রেলের ইঞ্জিনের রেপ্লিকা দেখতে পাওয়া যায়। গণেশের ইচ্ছে তিনি নিজে একটি সংগ্রহশালা তৈরি করবেন, যেখানে ১৮৫৩ সাল থেকে শুরু করে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ভারতীয় রেলের সমস্ত ইঞ্জিনের রেপ্লিকা থাকবে।

তাঁর বক্তব্য, সংগ্রহশালা থাকলে মানুষের আগ্রহ বাড়বে রেলের প্রতি আরও। হাতে তৈরি সমস্ত রেলের ইঞ্জিন দেখতে মানুষে এমনি আসবে ঠিক যেমন ফুড ব্লগারদের দেখে বিভিন্ন দোকানে নতুন মানুষের ভিড় বাড়ে। গণেশ নিজের কাজ সমাজমাধ্যমে তুলে ধরেন, যা পৌঁছে যায় হাজার হাজার মানুষের মধ্যে।