মিল্টন সেন, হুগলি,১৯ অক্টোবর: ঘন্টা খানেকের মধ্যে বিস্তীর্ণ রাস্তার রূপ পাল্টে গেলো। অপরূপ হয়ে উঠলো চন্দননগর স্টেশন রোড। একাধিক শিল্পীর তুলির টানে ফুটে উঠল নানান আলপনা। জগদ্ধাত্রী আহ্বানে চন্দননগর বাগবাজার বারোয়ারীর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানালেন পথচারী থেকে সাধারণ সকলেই। অনেক আগেই কাঠামো পুজোর মাধ্যমে জগদ্ধাত্রী পুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়েছিল আলোর শহর চন্দননগরে। দীপাবলির আগেই এবার রাস্তায় আলপনা এঁকে উৎসবের সুর বেঁধে দিলো বাগাবাজার সর্বজনীন। চন্দননগর এবং ভদ্রেশ্বরে ১৮০ টি জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। পূজগুলির মধ্যে অন্যতম বাগবাজার বারোয়ারী।

আরও পড়ুন: শিঙ্গারার টাকা দেওয়ার আগেই ছেড়ে দিল ট্রেন, যাত্রীকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে বেমক্কা মার রেল হকারের

 

এবছর এই পুজোর ১৯১ তম বর্ষ। টানা ষোলো বছর ধরে বারোয়ারীর তরফে রাস্তায় আলপনা প্রতিযোগিতা শুরু করা হয়েছে। শুরুতে সেই প্রতিযোগিতার আকৃতি ছোট ছিল। পর্যায়ক্রমে তার ব্যাপ্তি ঘটেছে। প্রতিযোগীদের সংখ্যা বেড়েছে। চলতি বছরে সেই প্রতিযোগিতার বিশাল আকার ধারণ করেছে। অনলাইনে শুধু জেলা নয় বিভিন্ন রাজ্য থেকে প্রতিযোগিরা নাম নথিভুক্ত করেছেন। রবিবার কালী পুজোর আগের দিন হয় সেই আলপনা প্রতিযোগিতা।

আরও পড়ুন: বধূর গর্ভে কার সন্তান তা নিয়ে খুনোখুনি প্রেমিক ও স্বামীর মধ্যে! জোড়া খুনে উত্তপ্ত রাজধানী 

 

প্রায় আটশ প্রতিযোগী ও তাদের একজন করে সহযোগী মিলে বাগবাজারের রাস্তা জুরে আলপনা দেন। এক সঙ্গে এত মানুষের আলপনা দেওয়া দেখতে বেশ ভীরও জমে যায় রাস্তায়। প্রত্যেক বছরই পুজোর দিনগুলোতে বাগ বাজারের সুউচ্চ জগদ্ধাত্রী প্রতিমা দেখতে ভীর হয়। এদিন, রাস্তাকে ক্যানভাস তৈরি করে একাধিক শিল্পীর দেওয়া আলপনা সেই উৎসবের সূচনা করল। এই প্রসঙ্গে পুজো কমিটি উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, আরও অনেকেই আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সকলকে জায়গা দেওয়া যায়নি। রাস্তায় যেহেতু আলপনা দেওয়ার ব্যবস্থা, তাই ইচ্ছা থাকলেও তাঁদের কাছে উপায় ছিল না। তবে গত বছরের তুলনায় এবছর প্রতিযোগীদের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। এত বৃহৎ আকারে আলপনা দেওয়ার ব্যবস্থার স্বীকৃতি পেতে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে আবেদন করা হয়েছে, জানিয়েছেন পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চন্দননগরের ডেপুটি মেয়র মুন্না আগরওয়াল, সেন্ট্রাল কমিটির সম্পাদক শুভজিৎ সাউ প্রমুখ।

 

ছবি পার্থ রাহা।