আজকাল ওয়েবডেস্ক: দুর্গাপুরে মেডিক্যাল পড়ুয়া ধর্ষণ মামলায় বড় মোড়। ধৃত পাঁচ অভিযুক্তকেই শনাক্ত করলেন নির্যাতিতা। আদালতের নির্দেশে শুক্রবার জেলে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এই শনাক্তকরণ পর্ব হয়। যেখানে এই মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজনকে নির্যাতিতা একে একে শনাক্ত করেন বলে একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
এবিষয়ে ওই সূত্রটি জানায়, শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে অভিযুক্তকে আরও ২০ জনের সঙ্গে দাঁড় করানো হয়। তাদের মধ্যে থেকেই নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে আলাদা করতে হয়। স্বাভাবিকভাবেই শুক্রবার এই শনাক্তকরণের পর্ব সমাপ্ত হওয়ার পর মামলায় আরও গতি বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।
গত ২২ অক্টোবর দুর্গাপুর মহকুমা আদালত এই শনাক্তকরণের নির্দেশ দেয়। ধর্ষণের ঘটনায় ধৃত ৬ জনের মধ্যে একজন নির্যাতিতার সহপাঠী। যেহেতু সে আগে থেকেই নির্যাতিতার পরিচিত সেজন্য তাকে বাদ দিয়েই বাকি পাঁচজনকে শনাক্তকরণের নির্দেশ দেয় আদালত। অভিযুক্তরা সকলেই আপাতত জেল হেফাজতে আছে।
এর আগে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন নির্যাতিতাকে একজনই ধর্ষণ করেছিল বলে জানিয়েছিলেন তিনি নিজেই। কিন্তু সেইসময় বা তার অব্যবহিত আগে বা পরে সেখানে যারা উপস্থিত ছিল তাদের তদন্তের স্বার্থে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের ভূমিকাও এই ধর্ষণের সঙ্গে কতটা যুক্ত সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত যে ধর্ষক একজন সেটাও পুলিশ এখনই জোর দিয়ে বলতে রাজি নয়।
এবিষয়ে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার সুনীল চৌধুরী জানিয়েছিলেন, তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত কতজন ওই ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ করেছে সেটা এই মুহূর্তে জোর দিয়ে বলা সম্ভব নয়। পুলিশ সবদিক খতিয়ে দেখছে।
ঘটনার পর পুলিশের বিরুদ্ধে যে নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছিল তা খন্ডন করে পুলিশ কমিশনার জানিয়েছিলেন, 'অভিযুক্তদের দু’দিনের মধ্যে ধরে ফেলেছি। রাত ১টা ৫ মিনিটে মৌখিকভাবে খবর পেয়ে অন ডিউটি পুলিশের মোবাইল ভ্যান ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। তারপরেই ৩টে ৩৮ মিনিটে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ জমা দেয়। আমরা তদন্ত শুরু করি। ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলা হয়েছে। তিন জনকে সেই দিনই গ্রেপ্তার করা হয়। পরের দিন আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করি।'
আরও পড়ুন: চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয় এবার একাধিক চমক! আলো-প্রতিমায় মুগ্ধ শহর, দেখতে আসছেন শ'য়ে শ'য়ে
সুনীল চৌধুরী জানিয়েছিলেন, “যে পাঁচজন ওইখানে ছিল তাদের সবাইকে আমরা গ্রেপ্তার করে ফেলেছি দু’দিনের মধ্যে। তাদের হেফাজতে নিয়ে আমরা তদন্ত অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে গিয়েছি।' এর পাশাপাশি তিনি বলেন, 'যদি নির্যাতিতা ও নির্যাতিতার পরিবারের কোনও নিরাপত্তারক্ষী লাগে আমরা সেটা দিতেও রাজি আছি।' নির্যাতিতার পরিবারকে তাঁদের সমস্ত আধিকারিকের ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছিলেন।
