আজকাল ওয়েবডেস্ক: পশ্চিম ভারতের সুদূর মুম্বই থেকে পূর্ব ভারতের গুয়াহাটিতে বিয়ে করতে যাচ্ছিলেন বর। সঙ্গে ছিলেন ৩৫ জনের বিশাল বরযাত্রী। যাত্রাপথ ছিল মুম্বই থেকে হাওড়া এসে সেখান থেকে ট্রেন বদল করে আবার গুয়াহাটি। কিন্তু মাঝপথেই তাঁরা পড়লেন এক অদ্ভুত সঙ্কটে। গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেসে চেপে তাঁরা হাওড়া আসছিলেন। ট্রেন তখনও হাওড়া থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে।

 

 

 

সেই সময়ে বরযাত্রীর দল বুঝতে পারেন হাওড়া নেমে ভিড়ের মধ্যে প্ল্যাটফর্ম বদলে গুয়াহাটিগামী সরাইঘাট এক্সপ্রেস তাঁদের পক্ষে ধরা কার্যত অসম্ভব। তাছাড়া, বরযাত্রীর দলে বৃদ্ধ এবং শিশুরাও রয়েছেন। সেখানেই ত্রাতা হয়ে দাঁড়াল পূর্ব রেল। বরযাত্রীদের তরফে চন্দ্রশেখর বাগ এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার হাওড়া এবং সিনিয়র ডিসিএম হাওড়ার কাছে সাহায্যের আবেদন করেন।

 

 

 

সঙ্গে সঙ্গে হাওড়া স্টেশন কর্তৃপক্ষের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। স্টেশনে অধস্তন কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় ওপরমহলের তরফে। গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেস হাওড়া স্টেশনে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে রেলের কর্মচারী এবং আধিকারিকরা মিলে একটি বিশেষ করিডর তৈরি করেন। সামান্য সময়ের মধ্যে হাওড়ার নতুন কমপ্লেক্সের ২১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে পুরনো কমপ্লেক্সের ৯ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছে যান ৩৫ জন বরযাত্রীর দল।

 

 

 

দলটির বয়স্ক সদস্যদের জন্য চারটি ব্যাটারি চালিত গাড়ি ও হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করা হয় রেলের তরফে। তাঁদের সহায়তায় নিয়োজিত ছিলেন এক ডজনেরও বেশি রেলকর্মী। রেলস্টেশনে বিশেষ ব্যবস্থার কারণে বিয়ের বরযাত্রীর সকল সদস্য সরাইঘাট এক্সপ্রেস ধরতে সফল হন। যথাসময়ে কনের বাড়িতে পৌঁছেও যান। বরযাত্রীদের মধ্যে চন্দ্রশেখর বাগ এক্স হ্যান্ডেলে রেলমন্ত্রী, রেলের আধিকারিক ও কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।