আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ প্রতিনিয়ত হচ্ছে ঝামেলা। আর তাই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)–এর দপ্তরকে উপযুক্ত এবং নিরাপদ জায়গায় স্থানান্তরিত করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। এর জন্য যা খরচ হবে তা নিজেরাই বহন করবে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের উপর নির্ভর করবে না। 


এটা ঘটনা, কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত রাজ্যের সিইও দপ্তরের চত্বর। দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিএলও–দের একাংশ। সে ক্ষেত্রে সিইও দপ্তরের আধিকারিক এবং কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল কমিশন। এ নিয়ে পর পর দু’বার কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মাকে চিঠিও দেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, সিইও দপ্তরকে উপযুক্ত এবং নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। শুধু তা–ই নয়, বর্তমান এবং নতুন–দুই দপ্তরেই সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলা হয় চিঠিতে।


প্রসঙ্গত, সিইও দপ্তরের সামনে বিএলও–দের একাংশের বিক্ষোভের পরই দপ্তর সরানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হয় কমিশন। পাশাপাশি, সিইও দপ্তরের আধিকারিক এবং কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টিও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। কমিশনারকে দেওয়া চিঠিতে সিইও দপ্তরের আধিকারিক এবং কর্মীদের বাড়ি এবং যাতায়াতের পথেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলে কমিশন। চিঠি পাওয়ার পর কী পদক্ষেপ করা হল, তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট (অ্যাকশন টেকশন রিপোর্ট) আকারে জমা দিতে বলা হয়।


এদিকে, সিইও দপ্তর স্থানান্তরিত করার ব্যাপারে খরচ নিয়ে মুখ খুলেছে কমিশন। সূত্রের খবর, দপ্তর স্থানান্তরিত করতে যে খরচ হবে, তা বহন করবে কমিশনই। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের উপর নির্ভর করা হবে না বলেই জানানো হয়েছে। এটা গটনা, সিইও দপ্তর সরানোর কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। সিকিম কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার বিল্ডিংয়ে হবে নতুন সিইও দপ্তর।

এদিকে, কমিশনের তরফে সোমবার জানানো হয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলা মিলিয়ে মোট ২২০৮টি বুথে ১০০ শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম ফেরত এসেছে। অর্থাৎ, ওই সব বুথে কোনও মৃত, স্থানান্তরিত কিংবা একাধিক জায়গায় নাম থাকা ভোটারের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এই ধরনের বুথ যে সমস্ত জেলায় অপেক্ষাকৃত বেশি তাদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। সেখানকার ৭৬০টি বুথে ১০০ শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম পূরণ হয়ে ফেরত এসেছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পুরুলিয়া। সেখানে ২২৮টি বুথে সমস্ত এনুমারেশন ফর্ম জমা পড়েছে। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে যথাক্রমে মুর্শিদাবাদ (২২৬) ও মালদহ (২১৬)। একেবারে শেষের দিকে রয়েছে আলিপুরদুয়ার (৩), কোচবিহার (২), দার্জিলিং (২), কালিম্পং (১), উত্তর কলকাতা (১) এবং পশ্চিম বর্ধমান (১)।


তবে এই ২২০৮টি বুথ ছাড়াও রাজ্যে এমন বহু বুথ রয়েছে যেখানে হাতে গোনা কয়েকটি এনুমারেশন ফর্ম ফেরত আসেনি। বাকি প্রায় সমস্ত ফর্মই জমা পড়েছে। একটি মাত্র ফর্ম ফেরত আসেনি এমন বুথের সংখ্যা ৫৪২। দু’টি ফর্ম জমা পড়েনি এমন বুথ রয়েছে ৪২০টি। সেই হিসাবও প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।