আজকাল ওয়েবডেস্ক: একসঙ্গে ভাঙা পড়বে একঝাঁক হোটেল। মন্দারমণি নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত জেলা প্রশাসনের। কেন্দ্রীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন মন্দারমণির ১৪০টি হোটেল ও রিসর্ট অবৈধ নির্মাণের কারণে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে। আরও বেশ কিছু সংখ্যক হোটেলকেও এবিষয়ে নোটিশ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। যার জন্য দুশ্চিন্তার ভাঁজ এই হোটেল মালিকদের কপালে। রাজ্যে পর্যটনের মানচিত্রে অন্যতম উল্লেখযোগ্য জায়গা হল মন্দারমণি। স্বল্প সময়ের জন্য বেড়াতে যেতে এই জায়গা পছন্দ করেন অনেকেই।
পর্যটকদের ভিড় দিন দিন যতই বেড়েছে ততই এখানে গজিয়ে উঠেছে হোটেল ও রিসর্ট। ব্যবসায় বিনিয়োগ হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। বিভিন্ন পর্যায়ে সবমিলিয়ে লক্ষাধিক লোক যুক্ত আছেন এর সঙ্গে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, সমুদ্রের পারে হোটেল বা রিসর্ট বানাতে গিয়ে অনেকেই নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র বেআইনি নির্মাণ তুলে ফেলেছেন বা ফেলছেন। তৈরি হচ্ছে অবৈধ নির্মাণ। অভিযোগ, এর জন্য কুপ্রভাব পড়ছে পরিবেশের উপর। বিষয়টি গড়িয়েছে কেন্দ্রীয় পরিবেশ আদালতে। সেখান থেকে নির্দেশ আসার পরেই জেলা প্রশাসনের তরফে পরিবেশের তোয়াক্কা না করে গজিয়ে ওঠা হোটেলগুলি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে। ফলে যে সমস্ত হোটেল কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের এই নোটিশ পেয়েছেন তাঁরা সকলেই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে এই বেআইনি নির্মাণ সরিয়ে বা ভেঙে ফেলতে হবে। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে মন্দারমণির হোটেল মালিকরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন। মন্দারমণির হোটেল মালিক সংগঠনের সভাপতি মীর মমরেজ আলি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের কাছে আমাদের আবেদন এর ফলে কয়েক লক্ষ লোক তাঁদের রোজগার হারাবেন। বিষয়টি যেন পুনর্বিবেচনা করে দেখা হয়। এবিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি জানিয়েছেন, 'নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ২০ নভেম্বর একটি দিনও ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে এর বেশি কিছু বলব না।'
