আজকাল ওয়েবডেস্ক : রাজ্য সরকারকে অন্ধকারে রেখে কেন্দ্র সরকারের বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গা জল বন্টন চুক্তি এবং মুর্শিদাবাদ ও মালদা জেলাতে গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধে কেন্দ্র সরকার এখনও কোনও সদর্থক পদক্ষেপ না করায় মঙ্গলবার ফরাক্কা ব্যারেজ প্রকল্প অফিসে প্রকল্পের জেনারেল ম্যানেজারকে ডেপুটেশন দেওয়া হল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে।
ডেপুটেশন কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন ফরাক্কার তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলাম, রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন সহ মালদা জেলার একাধিক তৃণমূল বিধায়ক। প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে মালদা জেলার কালিয়াচকের ভূতনি চর থেকে শুরু করে বৈষ্ণবনগর হয়ে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা-সামশেরগঞ্জ পর্যন্ত গঙ্গা নদীর ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গঙ্গা নদীর ভাঙনে ভিটে মাটি, চাষের জমি সর্বস্ব হারিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ীভাবে বসবাস করছেন দুই জেলার কয়েক হাজার পরিবার।
ফরাক্কার তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলাম বলেন," কেন্দ্র সরকার, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে গঙ্গার জল বন্টন সংক্রান্ত চুক্তিটি করার আগে রাজ্য সরকারকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেছে। গঙ্গা নদীর ভাঙনে দুই জেলার বহু মানুষ ভিটেমাটি হারিয়ে গৃহহীন অবস্থায় রয়েছে। অথচ ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ তাঁদের পুনর্বাসনের জন্য কোনও ব্যবস্থা করছে না।"
তৃণমূল বিধায়ক আরও অভিযোগ করেন," ফরাক্কাতে ফিডার ক্যানেলের দু'ধারে ব্যারেজ প্রকল্প এলাকার অন্তর্গত যে রাস্তা রয়েছে তার সংস্কারও হচ্ছে না। বহুবার অনুরোধ করার পরও সেই রাস্তা এখনও পর্যন্ত ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ রাজ্য সরকারের হাতেও তুলে দেয়নি।"
সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন,"গঙ্গার নদীর আপ এবং ডাউন স্ট্রিম মিলিয়ে ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ মোট ১২০ কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধের কাজ করত। কিন্তু রাজ্য সরকারকে কিছু না জানিয়ে ২০১৭ সাল থেকে মাত্র ১৯ কিলোমিটার এলাকাতে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ করছে।"
তিনি আরও বলেন ,"ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের এই আচরণে মুর্শিদাবাদ এবং মালদা জেলাতে একরের পর একর জমি নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে। ভাঙনের কারণে মালদা জেলাতে প্রায় ৬৪ স্কুল বন্ধ হয়ে রয়েছে। ব্যারেজ কর্তৃপক্ষকে আবার আগের মত ১২০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ করতে হবে। সমস্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তাঁদের সাত দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে উত্তর না পেলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।"
