আজকাল ওয়েবডেস্ক: খড়গপুর পুরসভায় নাগরিক পরিষেবা 'ভেঙে পড়া'র অভিযোগে কড়া পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর পুরসভার বিরুদ্ধে শোকজ নোটিস জারি করেছে রাজ্যের নগরোন্নয়ন ও পুর বিষয়ক দপ্তর। অভিযোগের জবাব দিতে পুরসভাকে সাত দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

 

এবিষয়ে নগরোন্নয়ন দপ্তরের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৭ ডিসেম্বর খড়গপুর পুরসভার বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে একটি আবেদন জমা পড়ে। সেই আবেদনে একাধিক গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়েছে পুরসভার পরিষেবা নিয়ে।অভিযোগ অনুযায়ী, গত এক বছর ধরে এখানকার বাসিন্দাদের জন্য পানীয় জলের পর্যাপ্ত জোগান নেই, পাশাপাশি জলের গুণমান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এছাড়াও পুরসভা এলাকায় আবর্জনা নিয়মিত সংগ্রহ না হওয়ায় নোংরা জমে রয়েছে বলে অভিযোগ। নর্দমা পরিষ্কার অনিয়মিত হওয়ায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এবং রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। 

 

একাধিক এলাকায় রাস্তার আলো বসানো ও রক্ষণাবেক্ষণেও চরম গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। এমনকী সাধারণ মানুষের অভিযোগ বা সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরদের আবেদনও গুরুত্ব পায়নি বলে নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের মতে, এই সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে স্পষ্ট হয়েছে যে, পশ্চিমবঙ্গ পুর আইন, ১৯৯৩ অনুযায়ী নাগরিকদের মৌলিক পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে খড়গপুর পুরসভার 'বোর্ড অব কাউন্সিলর'রা গুরুতর অবহেলা করেছে। সেই কারণেই পুর আইনের ৪৩১ ধারার অধীনে পুরসভাকে শোকজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

রাজ্যপালের নির্দেশে জারি হওয়া এই নোটিসে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, কেন খড়গপুর পুরসভার বোর্ড অব কাউন্সিলরস ভেঙে দেওয়া হবে না, সেই ব্যাখ্যা সাত দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে হবে। এই ঘটনায় খড়গপুরের প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এখন পুরসভার জবাবের দিকেই তাকিয়ে গোটা শহর। এই বিষয়ে খড়গপুর পুরসভার চেয়ারম্যান কল্যাণী ঘোষ বলেন, "বুধবার বোর্ড মিটিং ডাকা হয়েছে। সব কাউন্সিলরদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওইদিন আলোচনা হওয়ার পর বৃহস্পতিবার আমরা মতামত জানিয়ে দেব।"