আজকাল ওয়েবডেস্ক: মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটির ঐতিহ্যবাহী বড়মার মন্দিরে পুজো দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক ও নৈহাটির নবনির্বাচিত বিধায়ক সনৎ দে।

রাজ্যের অন্যতম প্রসিদ্ধ জাগ্রত কালী হিসেবে নৈহাটির বড়মা ভক্তদের কাছে পূজিত হন। চলতি বছর মায়ের ১০১তম পুজো হয়েছে। বড়মার মন্দিরে পুজো দিতে দেশ-বিদেশ থেকে বহু ভক্তই প্রতিবছর নৈহাটিতে আসেন। গতবছর কালীপুজোর পরের দিন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বড়মার মন্দিরে পুজো দিতে এসেছিলেন। বছর ঘুরে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই মন্দিরে পুজো দিতে এলেন। বিকাল সওয়া তিনটে নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী মন্দিরে প্রবেশ করেন। মন্দিরে প্রবেশের সময় মুখ্যমন্ত্রী হাতে মায়ের উদ্দেশে নিবেদন করার জন্য নতুন বস্ত্র ছিল। প্রাথমিক আচার শেষ হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী বড়মার সামনে দাঁড়িয়ে অঞ্জলি দেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রায় আধ ঘণ্টা মন্দিরে ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে গোটা নৈহাটি শহরে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার বলয় তৈরি করা হয়েছিল। 

প্রসঙ্গত, গত ১৩ নভেম্বর নৈহাটি বিধানসভা উপনির্বাচনের দিন তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে বড়মার মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন। সেদিন মন্দিরে পুজো বন্ধ ছিল। নিয়ম ভেঙে কেন শাসকদলের প্রার্থীকে পুজো দিতে দেওয়া হল, তা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা মন্দির চত্বরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। কথিত আছে, বড়মার কাউকে খালি হাতে ফেরান না। উপনির্বাচনে নৈহাটি কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস রেকর্ড ভোটে জয়লাভ করেছে। উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বড়মার মন্দিরে মুখ্যমন্ত্রীর পুজো দিতে আসার ঘটনাকে রাজনৈতিকভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে অনেকেই মনে করছেন।

নৈহাটিতে বড়মার মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর ওই অঞ্চলে একগুচ্ছে উন্নয়ন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, "নৈহাটি এবং ভাটপাড়া হাসপাতালে আলাদা করে ওপিডি তৈরি হবে।" এ ছাড়াও বড়মার মন্দিরে সংলগ্ন ঘাটটিকে বড়মার ঘাট নামে নতুন করে তৈরি করা নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।  সেই জন্য এমপিল্যাড থেকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন মন্দিরের বাইরে তাঁর সঙ্গে ছিলেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী, ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক এবং নৈহাটির নবনির্বাচিত বিধায়ক সনৎ দে এবং নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান-সহ অন্যান্য স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা।