মিল্টন সেন: হাসপাতাল থেকে রাজপথ, অলি গলি থেকে তস্য গলি সবই এবার সুরক্ষিত। উৎসবের দিনে নিরাপত্তার জন্য থাকছে পিঙ্ক মোবাইল ভ্যান। সঙ্গে ঘুরবে উইনার্স টিম। উড়বে ড্রোন। সর্বত্রই সিসিটিভি নজরদারি। পুজোয় নারী নিরাপত্তায় বিশেষ উদ্যোগ নিল চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট। শুক্রবার জেলা প্রশাসনের তরফে চুঁচুড়া রবীন্দ্রভবনে দুর্গাপুজোর অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। উদ্বোধন করা হয় কমিশনারেট এলাকার পুজোর রুট ম্যাপ।

 

অনুষ্ঠান শেষে এদিন পিঙ্ক মোবাইলের উদ্বোধন করেন পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হুগলি জেলা শাসক মুক্তা আর্য, জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধারা, চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার, সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত, হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায়, বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী, চাপদানি পুরসভার চেয়ারম্যান সুরেশ মিশ্র, চন্দননগর পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র মুন্না আগরওয়াল প্রমুখ। পুলিশ কমিশনার জানান, এবার থেকে শহরের নারী নিরাপত্তায় বিশেষ নারী বাহিনী কাজ করবে। পিঙ্ক মোবাইল ভ্যান বিভিন্ন থানা এলাকায় টহল দেবে। পাশাপাশি বাইক নিয়ে উইনার্স টিম অলিগলিতে ঘুরবে।

 

যেখানে বাইক বা গাড়ি ঢুকবে না এমন গলিতে ব্যাটারি চালিত সাইকেল নিয়ে ঘুরবে গ্রীন উইনার্স টিম। এদিন পুলিশ কমিশনার আরও জানান, হাসপাতালগুলিতেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। মোতায়েন করা হবে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী। হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা রক্ষীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পুজোর সময় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। হুগলি জেলা শাসক মুক্তা আর্য জানিয়েছেন, দুয়ারে ত্রাণ থেকে শুরু করে দুর্গতদের জন্য সব রকম ব্যবস্থা তৈরী রাখা থাকছে।

 

বর্তমান সময়ে বন্যার দাগ মুছে একটু একটু করে স্বাভাবিক হচ্ছে প্লাবিত এলাকার জনজীবন। খানাকুল ২ ব্লক ছাড়া বাকি এলাকায় জল নেই। কৃষিতে ক্ষতি হয়েছে। তার হিসাব নিকাশ চলছে। ভাঙা বাড়ি, রাস্তা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। স্কুলগুলোকে পরিষ্কার করে সেখানে পঠন পাঠন শুরু করার দিকে জোর দেওয়া হয়েছে। এবারে আরও ভালো করে জেলায় পুজো কার্নিভাল করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

 

 

ছবি পার্থ রাহা।