মিল্টন সেন, হুগলি: বিজেপি দলে মহিলাদের কোনও সম্মান নেই। মহিলা নির্যাতনের প্রতিবাদে বিজেপির সভায় বিস্ফোরক বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী। অপমানিত হয় লজ্জায় কেঁদে ফেললেন বিজেপি নেত্রী সোনিয়া সামন্ত। তিনি একা নন, বিস্ফোরক মহিলা মোর্চার একাধিক সদস্য। তাঁদের অভিযোগ, মহিলা নির্যাতনের প্রতিবাদে দলের সভা, অথচ সেই সভায় দলের মহিলারাই যোগ্য সম্মান পায় না। এই অভিযোগ তুলে সভা চলাকালীন প্রকাশ্যেই বিক্ষোভ প্রদর্শন করলো মহিলা মোর্চার কর্মীরা।

মঙ্গলবার বিজেপির প্রতিবাদ সভা ছিল চুঁচুড়ার ঘড়ির মোড়ে। সেখানে প্রধান বক্তা উপস্থিত ছিলেন পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। সাংসদের সামনেই দলের একাধিক বিষয় নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন মহিলা মোর্চার কর্মীরা। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। একাধিকবার সাংসদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন মহিলা কর্মীরা। কিন্তু কথায় গুরুত্ব না দিয়ে বেরিয়ে যান সাংসদ।

মহিলাদের নির্যাতন নিয়ে প্রতিবাদ সভা অথচ দলে মহিলাদেরই সম্মান নেই, প্রকাশ্যেই এমন দাবি তুলে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বিজেপি কর্মী মিলি গুহঠাকুরতা, সবিতা মন্ডল, হুগলি জেলা সাংগঠনিক মহিলা মোর্চার সভানেত্রী সোনিয়া সামন্ত সহ মহিলা কর্মীরা সকলেই। তাঁদের বিক্ষোভ বিজেপি হুগলি জেলা সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউয়ের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ, মহিলা বলে, তাঁদের দলে কোনও সম্মান দেননা সুরেশ বাবু। অভিযোগ তুলে কেঁদে ফেলেন মহিলা কর্মীরা। বিজেপি মহিলা মোর্চার সদস্যাদের দাবি, জেলার একাধিক কাজ সামলান মহিলা কর্মীরা। এই সভার জন্য গত কয়েকদিন ধরে একাধিক জায়গায় প্রচার চালিয়েছেন মহিলা কর্মীরাই। অথচ এদিনের সভায় জেলার মহিলা মোর্চার সভানেত্রীকেই ডাকা হয়নি সভামঞ্চে। ঢাকা দূরের কথা তাঁদের নামটাও ঘোষণা করা হয় নি। সভামঞ্চ ভরানো হয়েছে জেলা সাধারণ সম্পাদক ঘনিষ্ঠ লোকজনদের দিয়ে। এর আগেও একাধিক সভা সম্মেলনে তাঁদের কর্মীদের এভাবেই অসম্মান করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: স্টিলকে ফেল করাবে এই কাঠ! ‘সুপারউড’ নিয়ে বিশ্বজুড়ে হইচই

 

এদিন সভা চলাকালীন সুরেশ সাউ দূর হটাও স্লোগান তুলতে থাকে মহিলা কর্মীরা। বিজেপি নেত্রী সোনিয়া সামন্ত বলেন, জেলা বিজেপি নেতৃত্ব সম্মান দেয় না মহিলা কর্মীদের। এর আগেও এই বিষয় রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। সভা শেষে সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহাতোকে বিষয়টি জানানো হলে তিনিও তাঁদের কারোর কোনও কথা না শুনে বেরিয়ে যান। আরও  অসম্মানিত বোধ করেন মহিলা মোর্চার সদস্যারা। ক্ষুব্ধ মহিলারা বলেন, তাঁরা দলে দলে যোগ্য সম্মান পাচ্ছেন না। উচ্চ নেতৃত্বকে অনুরোধ করবেন বিষয়টি দেখার জন্য। এই প্রসঙ্গে সুরেশ সাউ বলেছেন, সভা মঞ্চ ছোট ছিল তাই সকলকে ডাকা সম্ভব হয় নি।