আজকাল ওয়েবডেস্ক: মঙ্গলবার দুপুরেই, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের পোস্টে জানা গিয়েছিল, যুবভারতী কাণ্ডের জেরে, ক্রীড়ামন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে চান অরূপ বিশ্বাস। ঠিক তার কয়েকঘণ্টাতেই, কুণাল ঘোষের পোস্টেই জানা গেল, অরূপ বিশ্বাসের আর্জিকে মান্যতা দিয়ে তাঁকে ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দপ্তরের কাজ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তদন্তচলাকালীন সময়ে ক্রীড়াদপ্তর সামলাবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।
কুণাল ঘোষ ওই পোস্টের উপরে লিখেছেন, 'অরূপ বিশ্বাসের আর্জিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করে মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত, তদন্ত চলাকালীন সময়টাতে ক্রীড়া দপ্তর তিনি নিজে দেখভাল করবেন।' অরূপ বিশ্বাস প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, তিনি ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দপ্তরের পাশাপাশি রাজ্যের বিদ্যুৎ দপ্তরেরও মন্ত্রী। অব্যাহতি চেয়েছিলেন শুধু ক্রীড়া দপ্তর থেকে। ফলে, ওই দপ্তর থেকে তাঁকে আপাতত অব্যাহতি দেওয়া হলেও, তিনি থাকছেন মমতা-ক্যাবিনেটেই।
শনিবারের যুবভারতীর ঘটনায় উত্তাল হয় শহর। রেশ কাটেনি এখনও। তার মাঝেই, মঙ্গলবার দুপুরে কুণাল ঘোষ পোস্ট করে জানান, ক্রীড়ামন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশ অরূপ বিশ্বাসের। মুখ্যমন্ত্রীকে নিজের ইচ্ছার কথা জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। তখন থেকেই জল্পনা ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত নিয়ে। জল্পনার মাঝেই, পুনরায় পোস্ট কুণাল ঘোষের। জল্পনার ইতিও তাতেই। ওই পোস্টেই অরূপ বিশ্বাসের ইস্তফার আর্জি জানিয়ে চিঠি এবং মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি, দুটিই পাশাপাশি পোস্ট করেছেন কুণাল ঘোষ।
প্রসঙ্গত, শনিবার সকালে যুবভারতীতে মেসি ঢোকার কিছুক্ষণ পরেই চরম বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। প্রিয় তারকাকে দেখতে না পেয়ে রীতিমতো বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন দর্শকরা। গ্যালারি থেকে উড়ে আসতে থাকে জলের বোতল। ভাঙা চেয়ারও ছুঁড়ে ফেলা হয় মাঠে। মেসি বেরিয়ে যেতেই মাঠে ঢুকে পড়েন দর্শকরা। রীতিমতো তাণ্ডব চলে মাঠ জুড়ে।
শনিবার বিকেলে্ উত্তাল পরিস্থিতি মাঝেই, গ্রেপ্তার করা হয় উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তকে। ক্রীড়ামন্ত্রীর বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বহু মানুষ। মঙ্গলবার নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে ক্রীড়ামন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে চিঠি দেন অরূপ বিশ্বাস।
যুবভারতী–কাণ্ড প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, প্রাক্তন বিচারপতি অসীমকুমার রায়ের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই তদন্ত চলার মধ্যেই মঙ্গলবার রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক রাজীব কুমারকে শনিবারের ঘটনার বিষয়ে শোকজ করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। শোকজ করা হয়েছে বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারকেও। সাসপেন্ড করা হয়েছে বিধাননগরের ডিসি অনীশ সরকারকে।
