আজকাল ওয়েবডেস্ক: যুবকের মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার শাসন থানার খড়িবাড়ি এলাকা। পরিবারের অভিযোগ, ওই যুবককে পিটিয়ে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ তাঁদের ফিরিয়ে দেয়। রাতে স্থানীয় বাসিন্দারা রাজারহাট-বারাসত সড়কের ওপর মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ দেখান। অবরোধ তুলতে গেলে জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। তাতে থানার আইসি-সহ পাঁচ পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। পুলিশের লাঠির আঘাতে কয়েকজন বিক্ষোভকারীও জখম হয়েছেন।

 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে শাসনের মহিষগাদি এলাকায় আলামিন সাহাজি নামে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ওই যুবকের সঙ্গে স্থানীয় এক মহিলার সম্পর্ক ছিল বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। সম্প্রতি সেই সম্পর্কের অবনতি হয়। তারপরই আলামিনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, ওই যুবককে পিটিয়ে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের দাবি, আলামিনের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরিবারের লোকেরা শাসন থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাঁদের জানায়, ওই যুবক আত্মহত্যা করেছেন। 

 

পুলিশ থানা থেকে ফিরিয়ে দেওয়ার পরেই এলাকায় উত্তেজনায় ছড়ায়। পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা বারাসত-রাজারহাট রোডের খড়িবাড়ি বাজারে রাস্তার উপরে আলামিনের দেহ রেখে বিক্ষোভ শুরু করেন। রাস্তার উপরে টায়ার জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। বন্ধ হয়ে যায় ওই রাস্তার যান চলাচল। খবর পেয়ে শাসন থানার আইসি-সহ পাঁচ আধিকারিক বিরাট পুলিশবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। অবরোধ তুলতে গেলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। অভিযোগ, আন্দোলনকারীরা আচমকা পুলিশের উপর হামলা শুরু করেন। পুলিশও পাল্টা লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভরত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। দু'পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশকর্মী সহ মোট নয় জন জখম হয়েছেন। পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।