আজকাল ওয়েবডেস্ক: গুজরাট। বিজেপি শাসিত রাজ্য। মোদির রাজ্য। সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল ছাড়া বাকি সব মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী সেই পদত্যাগপত্রগুলি গ্রহণ করেছেন। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর তেমনটাই।

 স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য দেশের রাজনীতিতে। কারণ কী? আলোচনায় নানা মত। গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব? নেপালের মতোই কি তাহলে শীর্ষ পদাধিকারীর উপর থেকে আস্থা হারিয়েছেন ক্যাবিনেটের বাকি সদস্যরা? যদিও উত্তর মিলেছে ইতিমধ্যেই।

 

আরও পড়ুন: পুজোর পরেই ভোটের প্রস্তুতি? সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারকে জোরদার করতে অভিষেকের ঘোষণা ডিজিটাল যুদ্ধর...

 

কারণ কী? 

জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের ক্যাবিনেট অর্থাৎ গুজরাট মন্ত্রীসভার রদবদল, সম্প্রসারণ হবে। আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার তা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, প্রায় ১০জন নতুন মন্ত্রীকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। বর্তমান মন্ত্রীদের প্রায় অর্ধেকের বেশি সংখ্যক মন্ত্রীকে ফিরিয়ে আনা হবে নতুন মন্ত্রিসভায়। রদবদলের আগে, ঠিক সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া বাকি সব মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। 

সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, সে রাজ্যের সরকারি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শুক্রবার সকাল ১১:৩০ টায় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের মন্ত্রিসভা সম্প্রসারিত হবে। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বাকি মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার পর, ভূপেন্দ্র প্যাটেল সে রাজ্যের রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রতর সঙ্গে দেখা করবেন। 

মুখ্যমন্ত্রী-সহ, বর্তমানে গুজরাট মন্ত্রিসভায় ১৭ জন মন্ত্রী রয়েছেন। আটজন মন্ত্রিপারিষদ পদমর্যাদার এবং সমান সংখ্যক প্রতিমন্ত্রী (MoS)হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গুজরাটের রাজ্য বিধানসভার মোট সদস্য সংখ্যা ১৮২। নিয়ম অনুযায়ী,  গুজরাটে সর্বাধিক ২৭ জন মন্ত্রী থাকতে পারেন, যা মোট সদস্য সংখ্যার ১৫ শতাংশ। এই মাসের শুরুতে, প্রতিমন্ত্রী জগদীশ বিশ্বকর্মাকে ভারতীয় জনতা পার্টির গুজরাট ইউনিটের নতুন সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল, তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সি.আর. পাতিলের স্থলাভিষিক্ত হন।