আজকাল ওয়েবডেস্ক: অনেকেই মনে করেন ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে আগের সেই লড়াই আর নেই। ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব আগেই জানিয়েছেন ওই রাইভ্যালরি শব্দটা যেন ছেঁটে ফেলা হয়। কারণ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে লড়াইয়ে ইদানীংকালে ভারতই কিন্তু একাধিপত্য চালিয়েছে। পাকিস্তান ক্রমাগত হেরেই চলেছে। যখন দুই দেশের মধ্যে তুল্য মূল্য লড়াই চলে, তখন তাকে রাইভ্যালরি বলে। কিন্তু এই পাকিস্তান খুব সহজেই হেরে যায়।
পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক রশিদ লতিফ ফাইনালের আগে বিতর্কিত প্রসঙ্গ টেনে আনলেন। দু'দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ''রাইভ্যালরি, লড়াই তো রয়েইছে। যতদিন যুদ্ধ থাকবে, ততদিন ক্রিকেটে রাইভ্যালরিও থাকবে। এটা কোনওদিন শেষ হবে না।''
তবে ভারতের শক্তি সম্পর্কে অবগত রশিদ লতিফ স্বীকার করে নিয়েছেন ভারত অনেক শক্তিধর ক্রিকেট খেলিয়ে দেশ এই মুহূর্তে। পাকিস্তানের প্রাক্তন কিপার বলেন, ''ভারত জিতবে। তবে রাইভ্যালরি, লড়াই চিরকাল থাকবে ক্রিকেটে।''
ভারত প্রতিবার নামে আর হাসতে হাসতে ম্যাচ জিতে যায়। এখনও পর্যন্ত দুই প্রতিবেশি দেশ ১৫ বার মুখোমুখি হয়েছে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। তার মধ্যে পাকিস্তান জিতেছে ১২ বার। এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে কোনও লড়াই-ই নেই দুই দেশের মধ্যে। সাংবাদিক বৈঠকেও এই একই প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয়েছিল ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবকে। যার উত্তরে সূর্য বলেন, ''স্যর, আমার একটাই অনুরোধ, এবার থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শত্রুতা, প্রতিদ্বন্দ্বিতা বলাটা বন্ধ করা হোক।'' সেই সাংবাদিক বলেন, খেলার মানের কথা বলা হয়েছে। শত্রুতা বা প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা বলা হয়নি।
সাংবাদিক বৈঠক ছেড়ে চলে যাওয়ার সময়ে সূর্য বলেন, ''স্যর, রাইভ্যালরি বলুন বা স্ট্যান্ডার্ড, সবই এক। রাইভ্যালরি কী? দুটো দল যদি ১৫টা ম্যাচ খেলে আর জয়-পরাজয়ের পরিসংখ্যান হয় ৮-৭, তাহলে সেটাকে রাইভ্যালরি বলে। এখানে ১২-৩। কোনও লড়াই-ই নেই।''
রবিবাসরীয় রাতে অভিষেক শর্মা বনাম শাহিন আফ্রিদি ডুয়েল! এই দ্বৈরথ গড়ে দিতে পারে এশিয়া কাপের ফাইনালের ভাগ্য। এমনই ধারণা ভারতের বোলিং কোচ মর্নি মরকেলের। দু'জনের সঙ্গেই কাজ করেছেন তিনি। এর আগে পাকিস্তানের বোলিং পরামর্শদাতা ছিলেন মরকেল। সেখানে বাঁ হাতি পেসারকে কোচিং করিয়েছেন। তিনি মনে করছেন, অভিষেক এবং শাহিনের দ্বৈরথ দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। মরকেল বলেন, ''শাহিন আগ্রাসী বোলার। ও যেকোনও ব্যাটারকে সমস্যায় ফেলতে পারে। অভিষেকও অপেক্ষা করবে না। আমার মনে হয়, এই দু'জন সামনাসামনি হলেই লড়াই উপভোগ্য হয়। ক্রিকেটপ্রেমীরা এই দ্বৈরথ দেখার অপেক্ষা করে। যা খেলার জন্য ভাল।''
