আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতীয় টেস্ট দলে জায়গা পাকা করার স্বপ্নে বড় ধাক্কা খেয়েছেন করুণ নায়ার। প্রায় ন’বছরের অপেক্ষার পর এই বছর ইংল্যান্ড সফরে তিনি দলে ফিরেছিলেন। তবে চারটি টেস্টে ধারাবাহিকতা দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় আবারও বাদ পড়লেন তিনি। আগামী ২ অক্টোবর আহমেদাবাদে শুরু হতে চলা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের স্কোয়াডে তাঁর নাম নেই।
তবে করুণকে ঘনিষ্ঠ মহল জানাচ্ছে, এখনও দারুণ ফর্মে আছেন তিনি। এই ধাক্কাই হয়তো তাঁকে আরও শক্তিশালীভাবে ফিরতে উদ্বুদ্ধ করবে। সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নায়ারের ছোটবেলার কোচ বিজয় মাদ্যালকর জানান, ‘ওর জন্য খুব খারাপ লাগছে। ও আরেকটা সুযোগের যোগ্য ছিল বলে আমার মনে হয়েছে। তবে সিদ্ধান্ত তো নির্বাচকদের হাতে। ওরা অন্যরকমভাবে ভেবেছে।’
ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দুই টেস্টের সিরিজের জন্য ভারতীয় দল ইতিমধ্যেই ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছেন শুভমান গিল। তবে দলে রাখা হল না বাংলার অভিমন্যু ঈশ্বরণকে। সহ–অধিনায়ক করা হয়েছে রবীন্দ্র জাদেজাকে। চোট সারিয়ে ফিরতে পারেননি ঋষভ পন্থ। জায়গা হল না শ্রেয়স আইয়ারেরও। সুযোগ পাননি বাংলার পেসার আকাশদীপও।
১৫ জনের দলে আছেন: শুভমান গিল (অধিনায়ক), রবীন্দ্র জাদেজা (সহ–অধিনায়ক), লোকেশ রাহুল, সাই সুদর্শন, দেবদত্ত পাডিক্কাল, ধ্রুব জুরেল (উইকেটকিপার), ওয়াশিংটন সুন্দর, জসপ্রীত বুমরা, অক্ষর প্যাটেল, নীতীশ কুমার রেড্ডি, নারায়ণ জগদীশন (উইকেটকিপার), মহম্মদ সিরাজ, প্রসিধ কৃষ্ণা এবং কুলদীপ যাদব। দলে জায়গা হয়নি করুণ নায়ারেরও। আট বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁর পারফরম্যান্স আশানুরূপ ছিল না।
প্রসঙ্গত, শেষ বার ১৯৮৩ সালে ভারতে এসে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেবার অধিনায়ক ছিলেন ক্লাইভ লয়েড। ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছিল ৩-০ ব্যবধানে। ভারত চারটি টেস্ট সিরিজ জিতেছে তার পর। ১৯৮৭ এবং ১৯৯৪ সিরিজ ড্র হয়েছিল। ২০১৩ সালে এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধেই ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ খেলে অবসর নিয়েছিলেন শচীন রমেশ তেন্ডুলকার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইতিমধ্যেই দল ঘোষণা করে দিয়েছে। নেতৃত্ব দেবেন রস্টন চেজ। বাকি সদস্যরা হলেন জোমেল ওয়ারিকান (সহ–অধিনায়ক), কেভলন অ্যান্ডারসন, অ্যালিক অ্যাথানেজ, জন ক্যাম্পবেল, তেজনারাইন চন্দ্রপাল, জাস্টিন গ্রিভস, শাই হোপ, টেভিন ইলমাচ, আলজারি জোসেফ, শামার জোসেফ, ব্র্যান্ডন কিং, অ্যান্ডারসন ফিলিপ, খারি পিয়ের এবং জেডেন সিলস।
