'চিরদিনই তুমি যে আমার’ ধারাবাহিকে বর্তমানে প্রতিটি এপিসোড টানটান পর্ব চলছে। আর্য আর অপর্ণার মাঝে এন্ট্রি হয়েছে নতুন চরিত্রে ডাক্তার হিন্দোল মিত্র। সে অপর্ণার বাবাকে চিকিৎসা করে সুস্থ করে তুলেছেন। শুধু তাই নয় তার নম্রতা, ভদ্রতার আচরণ মন জয় করেছে অপর্ণার বাবা-মায়েরও। 'হিন্দোল মিত্র'র চরিত্রে অভিনয় করছেন মৃত্যুঞ্জয় ভট্টাচার্য।

 


‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ধারাবাহিক এখন টলিউডে ভীষণ জনপ্রিয় দর্শক মহলে। ধারাবাহিকে দর্শকের মধ্যমণি হলেন আর্য-অপর্ণা। তাদের মাঝে বারবার যারাই এসেছেন তারাই চক্ষুশূল হয়ে উঠেছেন। এক্ষেত্রে হিন্দোলেরও অবস্থা তাই-ই। এদিকে, গল্পের মোড়ে তার সঙ্গে অপর্ণার বিয়ে করে সতীনাথ। এই কথা অপর্ণা জানা মাত্রই আর্যর কাছে ছুটে যায়। 

 


আর্যকে গিয়ে অপর্ণা জানায়, যাকে সে সারাজীবন আগলে রাখার কথা দিয়েছিল, তাকে কী করে অন্য কারওর হয়ে যেতে দেবে? আর্য, অপর্ণাকে আশ্বাস দেয় যে, সে নিজে গিয়ে অপর্ণার বাবার সঙ্গে কথা বলবে। তাকে বোঝাবে যাতে অন্য কোথাও অপর্ণাকে বিয়ে না দিয়ে দেয়। এরপর অপর্ণার বাবার সঙ্গে কথা বলতে যায় সে। কিন্তু সতীনাথ প্রথমেই আর্যকে বাধা দেয়। অনুরোধ করে, তার মেয়ের সঙ্গে আর্য যেন কোনও যোগাযোগ না রাখে। এই কথা শুনে আর্য মুখ ফুটে আর কিছু বলতে পারে না।

 


তবে কি কাছে এসেও দূরে চলে যাবে আর্য-অপর্ণা? নাকি শেষমেশ আর্য রাজি করাতে পারবে অপর্ণার বাবা-মাকে? নাকি সত্যিই আলাদা হয়ে যাবে দু'জনের পথ? সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা নতুন প্রোমোয় দেখা যাচ্ছে এমনটাই। এই প্রোমো দেখেই টানটান উত্তেজনা ছড়িয়েছে দর্শক মহলে। দর্শকের চোখ এখন আর্য-অপুর মিল দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। কবে হবে তাদের মিল? 

 

আরও পড়ুন: আইএমডিবি-র শীর্ষে পৌঁছল 'রক্তবীজ ২'! আবির-মিমি না অঙ্কুশ-কৌশানী? কোন জুটির রসায়ন দেখার জন্য বেশি উৎসাহী দর্শক?

 

এই প্রশ্নের মাঝে উঠে আসছে গল্পের নতুন মোড়।এদিকে, ধীরে ধীরে পূর্বজন্মের স্মৃতি ফিরে আসছে অপর্ণার। মাঝেমধ্যেই এমন অনেককিছু চোখের সামনে ভেসে ওঠে তার, যার কোনও ব্যাখ্যা খুঁজে পায় না অপু। এর মধ্যেই দেখা গেল গল্পে এসেছে নতুন মোড়। অনেকদিন এই টালমাটাল পরিস্থিতির পর অবশেষে এক হতে চলেছে আর্য-অপর্ণা। এতদিন ধরে নিজের মনের কথা অপর্ণার কাছে লুকিয়ে রেখেছিল আর্য। অপুও জানত যে, আর্য তাকে মনে মনে ভালবাসে। কিন্তু মুখ ফুটে বলতে পারে না। তাই সেও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল আর্যর মুখে ভালবাসার কথা শুনবে বলে। সমস্ত বিপদকে পিছনে ফেলে এবার ভালবাসার কথা অপর্ণাকে জানিয়ে দেয় আর্য। 

 

 

আর দেরি না করে সে অপুকে গঙ্গা বক্ষে নিয়ে যায়। বাঙালির প্রেম নিবেদনের আদর্শ জায়গা হিসেবে গঙ্গার তীরকেই বেছে নেয় সে। আতসবাজি দিয়ে আকাশের বুকে লিখে অপুকে প্রেম নিবেদন করে আর্য। অবশেষে আর্যর মুখে এই কথা শুনে আবেগে ভেসে যায় অপু। ছুটে এসে সে জড়িয়ে ধরে আর্যকে‌। তালের ভালবাসার যাত্রা শুরুর এই প্রোমো দেখে উচ্ছ্বসিত দর্শক মহল। একদম রূপকথার মতো করে যেন মিলে গেল আর্য-অপর্ণার পথ।