আজকাল ওয়েবডেস্ক: আজকের দিনে প্লাস্টিক আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। খাবারের বাক্স, পানীয়ের বোতল কিংবা বিভিন্ন প্যাকেজিং – সবকিছুতেই প্লাস্টিক ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে ব্যবহার শেষে এগুলো যদি সঠিকভাবে ফেলা না হয়, তাহলে পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। অথচ একটু সৃজনশীলতা কাজে লাগিয়ে চাইলে ঘরেই প্লাস্টিকের কনটেইনারকে নতুনভাবে ব্যবহার করা সম্ভব। এতে যেমন খরচ বাঁচবে, তেমনি বাড়ি হবে আরও গোছানো ও পরিবেশবান্ধব।


ছোট গাছের টব হিসেবে ব্যবহার
ফেলে দেওয়া দইয়ের কৌটো বা পানীয়র বোতল কেটে সহজেই টব বানানো যায়। তলার দিকে ছোট ছোট ছিদ্র করে তাতে মাটি ভরে গাছ লাগান। বারান্দা বা রান্নাঘরের জানালায় সাজিয়ে রাখতে পারেন। এতে ঘরে সবুজের ছোঁয়া আসবে এবং বাতাসও হবে সতেজ।


রান্নাঘরের সংগঠক
মশলা, ডাল বা শুকনো খাবার রাখার জন্য বাজার থেকে নতুন কৌটো কেনার দরকার নেই। পুরোনো প্লাস্টিক কনটেইনার ধুয়ে শুকিয়ে লেবেল লাগিয়ে নিলে তা হয়ে উঠবে দারুণ স্টোরেজ। এতে জিনিস খুঁজে পাওয়াও সহজ হবে।

আরও পড়ুন: জাপানি হাঁটার কৌশলেই মিলবে দারুণ স্বাস্থ্য উপকারিতা


স্টেশনারি হোল্ডার
পেন, পেন্সিল, কাঁচি কিংবা স্কেল – এসব ছোটখাটো জিনিস প্রায়ই এলোমেলো হয়ে যায়। প্লাস্টিকের পুরোনো জার বা বোতল কেটে সুন্দরভাবে সাজিয়ে ডেস্কে রাখলে তা হবে চমৎকার স্টেশনারি হোল্ডার। চাইলে রঙ, কাপড় বা কাগজ দিয়ে সাজিয়ে আরও আকর্ষণীয় করা যায়।


ফ্রিজ সংগঠক
ফ্রিজে ছোট ছোট জিনিস প্রায়ই এদিক-সেদিক ছড়িয়ে থাকে। প্লাস্টিক কনটেইনারকে ভাগ করে ব্যবহার করলে ফ্রিজ হবে আরও গোছানো। আলাদা কৌটোতে সবজি, ফল, ডিম বা রান্নার উপকরণ সাজিয়ে রাখলে প্রয়োজনীয় জিনিস খুঁজতে সময় নষ্ট হবে না।


খেলনার বাক্স
বাচ্চাদের খেলনা ঘরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে। বড় আকারের প্লাস্টিক কনটেইনার রঙিন কাগজে মুড়ে রাখলে তা খেলনার বাক্স হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এতে খেলনা এক জায়গায় থাকবে এবং ঘরও থাকবে গুছানো।


ছোটখাটো ক্রাফট কাজ
প্লাস্টিক কনটেইনার দিয়ে নানা ধরনের হস্তশিল্প তৈরি করা যায়। যেমন—বাতি বানানো, দেয়ালে ঝোলানো শোপিস, এমনকি গহনা রাখার বাক্সও বানানো সম্ভব। একটু কল্পনা আর হাতের কাজেই পুরোনো জিনিস হয়ে উঠবে অনন্য সৃষ্টিতে।


ভ্রমণের জন্য ব্যবহার
ভ্রমণে গেলে শ্যাম্পু, লোশন বা তেল পুরো বোতল নিয়ে যাওয়ার দরকার নেই। ছোট প্লাস্টিক কৌটোতে অল্প করে ভরে নিলে জায়গা কম লাগবে এবং বহন করাও হবে সহজ।


জরুরি টুলবক্স
হাতুড়ি, স্ক্রু-ড্রাইভার, পেরেক ইত্যাদি ছোটখাটো জিনিস রাখার জন্য একটি প্লাস্টিকের বাক্স ব্যবহার করলে সব একসাথে রাখা সম্ভব। এতে প্রয়োজনে সহজেই টুলস খুঁজে পাওয়া যাবে।


প্লাস্টিককে একেবারে বাদ দেওয়া সম্ভব না হলেও এর পুনঃব্যবহার করে আমরা পরিবেশ দূষণ অনেকটা কমাতে পারি। অযথা ফেলে না দিয়ে বাড়িতেই প্লাস্টিক কনটেইনারকে নতুনভাবে ব্যবহার করলে শুধু যে অর্থ সাশ্রয় হবে তা নয়, বরং ঘরের সৌন্দর্য ও কার্যকারিতা দুটোই বাড়বে। তাই আর দেরি নয়, আজ থেকেই শুরু করুন সৃজনশীল পুনঃব্যবহার।