আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০২৩ সাল থেকে এই মামলা চলছে। শুনানি হচ্ছে। দিন পেরোচ্ছে, আবার শুনানি হচ্ছে, কিন্তু সমাধান নেই 'কুকুর আদতে কার?' এই প্রশ্নের। ২০২৩-এর মামলার শুনানিতে ২০২৫-এ আদালত প্রশ্ন করল, এই বিষয়ের মিমাংসা কি আইনজীবী জয় অনন্ত দেহদ্রাই এবং তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র, দু' জনে একসঙ্গে বসে করতে পারছেন না? একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর তেমনটাই। জানা গিয়েছে, পোষ্য হেনরির অভিভাবকত্ব নিয়ে আদালতে যে মামলা চলছে, তার প্রেক্ষিতেই বুধবার দিল্লি আদালত এই মন্তব্য করেছে। এই মামলার পরিবর্তী শুনানি হবে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসে, জানা গিয়েছে তেমনটাই।

সালটা ২০২৩। রটওয়েলার হেনরিকে অপহরণ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র, তেমনটাই অভিযোগ এনেছিলেন এক সময়ের বন্ধু, আইনজীবী জয় অনন্ত দেহদ্রাই। ২০২৩ সালে এমনিতেই ক্যাশ ফর কোয়েশ্চন কাণ্ডে নাজেহাল হতে হয়েছিল মহুয়াকে। যদিও তিনি পরবর্তীকালে সমস্তকিছুর জবাব দিয়েছেন স্বভঙ্গিমায়। তবে সেই সময়েই পোষ্য হেনরিকে নিয়ে জয়-মহুয়ার বিবাদ তুঙ্গে উঠেছিল, এমনকী রাজনীতির অলিন্দেও তা নিয়ে কম চর্চা হয়নি। 

আরও পড়ুন: 'ওকে বিশ্বাস কর না', দল ছেড়ে বোমা ফাটালেন কবিতা, এক ধাক্কায় তেলেঙ্গানার রাজনীতিতে বেআব্রু তীব্র গৃহকোন্দল!

মূলত হেনরিকে নিয়ে দু' জনেই দু' জনের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেছিলেন। মহুয়া অভিযোগ করেছিলেন, জয় হেনরিকে অপহরণ করেছে, জয়ও অভিযোগ করেন, ওই কাজ আদতে করেছেন মহুয়া। মহুয়া জয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন, ব্যক্তিগত সম্পর্কের অবনতির পর জয় তাঁর বাংলোতে ঢুকে পোষ্য হেনরিকে নিয়ে গিয়েছেন। একইসঙ্গে আরও একাধিক অভিযোগও করেছিলেন জয়ের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে শুরু থেকেই জয়ের দাবি, পোষ্য কিনেছিলেন তিনিই। জয় আরও অভিযোগ করেছিলেন, কুকুরের বাহানায় তাঁর বাড়িতে যাচ্ছেন মহুয়া, ভয় দেখাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছিলেন।

২০২৩ সালের বাক-বিতণ্ডা মামলার অবসান ঘটেনি এখনও। ২০২৫-এও চলছে মামলা। সূত্রের খবর, বুধবার দিল্লি হাইকোর্ট প্রশ্ন করে, জয় এবং মহুয়া, দু' জনে একসঙ্গে বসে হেনরি প্রসঙ্গে নিজেদের বিবাদের নিষ্পত্তি ঘটাচ্ছে না।  

আরও পড়ুন: ২০২৪ সালের মধ্যে পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে আসা সংখ্যালঘুদের থাকার অনুমতি দেওয়া হবে, সিএএ সংশোধনী প্রকাশ করে

এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, সূত্রের খবর, হেনরি ইস্যুতেই জয় ইতিমধ্যেই ট্রায়াল কোর্টের একটি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। কারণ, ট্র্যায়াল কোর্ট ওই নির্দেশিকায় জানিয়েছিল, এই মামলা সম্পর্কে দু' জনের কেউই প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না। জয়ের আইনজীবীর মতে, এই নির্দেশে তিনি ক্ষুব্ধ। এই নির্দেশ বাক্স্বাধীনতাকে খর্ব করে বলেই মত তাঁর।

এসবের মাঝেই বুধবার আদালত ওই প্রশ্ন করেছে বলে তথ্য সূত্রের। এরপর কী বলছেন দু' জনে? একসঙ্গে বসে কি মিটিয়ে নেবেন হেনরির প্রসঙ্গ? যৌথ দায়িত্ব কি ভাগ করে নেবেন দু' জনে বসেই? জল্পন তুঙ্গে তা নিয়েই। যদিও এখনও এই প্রসঙ্গে দু' জনের কারও মতামত প্রকাশ্যে আসেনি।