আজকাল ওয়েবডেস্ক: শচীন তেণ্ডুলকর ও বীরেন্দ্র শেহবাগ তাঁর মাথাব্যথার কারণ ছিলেন। খুল্লমখুল্লা জানিয়ে দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ক্রিকেটার।
তিনি ওয়েন পার্নেল। তিনি বলছেন, ''আমার মনে হয় সবাই যে উত্তরটি খুঁজছে তা হল বিরাট কোহলি, কিন্তু আমি যখন খেলা শুরু করেছিলাম, বীরেন্দ্র শেহবাগ আমার মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। শচীন তেণ্ডুলকর যখন ২০০ রান করেছিল, ব্যাটিং কত সহজ, সেটা দেখিয়ে দিয়েছিল। অত্যন্ত দক্ষ ব্যাটসম্যান ছিলেন। শেহবাগ অনেক বাউন্ডারি মারত। তেণ্ডুলকর খেলাটা নিয়ন্ত্রণ করত। শচীন মাঠের নির্দিষ্ট জায়গায় মারত, আমরা ওই জায়গা কভার করার চেষ্টা করতাম। তার পর শচীন অন্য জায়গায় মারত। ভারতের বিরুদ্ধে খেললে এই দুই ক্রিকেটার বিনিদ্র রজনী উপহার দিয়েছে। মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ডেথ ওভারে বল করা ছিল খুব কঠিন।''
আরও পড়ুন: খালিদ কেন নিলেন না সুনীলকে? প্রকাশ্যে এল আসল কারণ
২০১১ বিশ্বকাপের আগেই অবসরের ভাবনা প্রবেশ করেছিল মনে। কিন্তু কেন? এত বছর পর তার কারণ জানালেন প্রাক্তন তারকা। যা শুনে চমকে যাবেন। অবসরের সিদ্ধান্তের জন্য এমএস ধোনিকে দায়ী করেন বীরু। ২০১১ বিশ্বকাপে ভারতের ওপেনার ছিলেন শেহবাগ। কিন্তু তার আগেই অবসরের ভাবনা নিয়ে ফেলছিলেন। ধোনির নেতৃত্বে দীর্ঘদিন দলের বাইরে থাকায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলছিলেন তারকা ক্রিকেটার। কিন্তু বন্ধু এবং ব্যাটিং পার্টনারের পরামর্শে কেরিয়ার বদলে যায়।
২০০৭-০৮ কমনওয়েলথ ব্যাংক সিরিজের প্রসঙ্গ টানেন বীরু। ক্যাঙ্গারুদের দেশে ত্রিদেশীয় সিরিজে ভারত ছাড়াও অংশ নেয় অস্ট্রেলিয়া এবং শ্রীলঙ্কা। পাঁচ ম্যাচ খেললেও ফর্মে ছিলেন না। ৮১ রান করেন। গড় ১৬.২০। সর্বোচ্চ রান ৩৩। খারাপ ফর্মের জন্য শেষ তিন ম্যাচ থেকে বাদ পড়েন। ভারত সিরিজ জেতে। ব্যাট হাতে ফর্মে ছিলেন শচীন তেন্ডুলকর এবং গৌতম গম্ভীর। ভারতের ঐতিহাসিক জয়ের পর, দলে শেহবাগের জায়গা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
একটি ইউ টিউব চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'অস্ট্রেলিয়ায় ২০০৭-০৮ সিরিজে প্রথম পাঁচটা ম্যাচ আমি খেলেছিলাম। তারপর এমএস ধোনি আমাকে দল থেকে বাদ দেয়। তারপর বেশ কিছুদিন আমি দলে জায়গা পাইনি। আমার মনে হয়, প্রথম একাদশের অঙ্গ না হতে পারলে আর একদিনের ক্রিকেট খেলে লাভ নেই। তারপর আমি তেন্ডুলকরকে নিজের অবসরের সিদ্ধান্তের কথা জানাই। ও বলে, অবসর নিও না। আমি ১৯৯৯-২০০০ সালে একই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। আমারও তখন ক্রিকেট ছাড়ার কথা মনে হয়েছিল। তবে সেটা এসে চলেও গিয়েছে। সুতরাং, তোমারও চলে যাবে। আবেগতাড়িত হয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিও না। আরও একটা, দুটো সিরিজ নিজেকে সময় দাও। তারপর সিদ্ধান্ত নিও। পরের সিরিজে আমি প্রচুর রান পাই। তারপর ২০১১ বিশ্বকাপ খেলি এবং জিতি।' শচীনের পরামর্শের পর কিটপ্লাই কাপে ফর্মে ফেরেন। তিন ম্যাচে ১৫০ রান করেন। তারপর ২০১১ সালে বিশ্বকাপে শচীনের সঙ্গে ওপেন করেন। শেষপর্যন্ত ২০১৫ সালে অবসর নেন।
আরও পড়ুন: 'অচেনা' ইস্টবেঙ্গলের হিরো দিয়ামানতাকোস, মোহনবাগানকে হারিয়ে ডুরান্ডের সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল
