আজকাল ওয়েবডেস্ক: শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হল কিডনি। মূত্র থেকে বিভিন্ন হরমোন তৈরি, ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ সহ একাধিক জরুরি কাজ একা হাতে সামলায় শরীরের এই অঙ্গটি। তাই তো কিডনির স্বাস্থ্য ঠিক না থাকলে শরীরের বেহাল দশা হতে বেশি সময় লাগে না। এদিকে মুশকিল হল, কিডনিতে সমস্যা হলে তা ধরা পড়ে অনেক দেরিতে। অনেক ক্ষেত্রেই এমন হয় যে, একটি কিডনি বিকল হয়ে গেলেও কাজ চলতে থাকে অন্যটি দিয়ে। ফলে ক্ষতির আঁচ বাইরে থেকে পাওয়া যায় না। তাই প্রথম থেকেই সতর্ক হওয়া জরুরি।
2
9
অনেকেরই অজানা, আমাদের অতি পরিচিত কিছু খাবার কিডনির বারোটা বাজায়। এমনকী এইসব খাবার নিয়মিত খেলে মারাত্মক কিডনির সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই কিডনির স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে কোন কোন খাবার ডায়েট থেকে বাদ দেবেন, জেনে নিন-
3
9
প্রক্রিয়াজাত খাবার- যে কোনও প্রক্রিয়াতজাত খাবারে অত্যাধিক মাত্রায় সোডিয়াম ও ফসফরাস যুক্ত থাকে। যা দীর্ঘদিন খেলে রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং কিডনির ক্ষতি হয়। বদলে নিয়মিত মরশুমি শাকসবজি, ডাল এবং গোটা শস্য দিয়ে তৈরি টাটকা রান্না করা খাবার খান। স্ন্যাকস হিসাবে ছোলা ভাজা, পোহা কিংবা বেকড মাখানার মতো ঘরে তৈরি খাবার খেলে স্বাদের সঙ্গে বজায় থাকবে স্বাস্থ্যও।
4
9
অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার- অতিরিক্ত চিনি শুধু ডায়াবেটিস নয়, দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগেরও প্রধান কারণ। লাড্ডু, গুলাব জামুন বা হালুয়ার মতো ঐতিহ্যবাহী মিষ্টিও যদি খুব বেশি পরিমাণে খাওয়া হয়, তাহলে শরীরে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে মিষ্টির ক্রেভিং হলে খেজুর, পরিমিত পরিমাণে গুড়, আম, সবেদা, কলার মতো ফল, অথবা ঘরে তৈরি মিষ্টি খেতে পারেন।
5
9
সফট ড্রিঙ্কস- বাজার চলতি জুস, এনার্জি ড্রিঙ্ক সহ বিভিন্ন ধরনের সফট ড্রিঙ্কে উচ্চ মাত্রায় সুগার থাকে। কিডনির পাথর ও অন্যান্য সমস্যার কারণ হতে পারে এই সব সফট ড্রিঙ্কস। বরং নিয়মিত লেবুর জল, লস্যি, ডাবের জল, আম পান্না খেলে শরীরের হাইড্রেশন ঠিক থাকবে এবং কিডনির কার্যকারিতাও ভাল হবে।
6
9
রেড মিট- বিভিন্ন ধরনের রেড মিটে উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন ও ফ্যাট উপাদান রয়েছে। তাই বেশি পরিমাণে রেড মিট খেলে তা কিডনিতে প্রভাব ফেলতে পারে। মুগ ডাল, রাজমা, ছানা, পনির, তফুও শরীরে প্রোটিনের জোগান দেবে।
7
9
ক্যাফেইন- সাধারণত পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যাফেইন খেলে শরীরে তেমন কোনও সমস্যা হয় না। তবে বেশি মাত্রায় ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় অর্থাৎ চা, কফি খেলে তা শরীরকে ডিহাইড্রেট করে দেয়। একইসঙ্গে রক্তচাপ, কিডনির উপরও প্রভাব ফেলে। বদলে ভেষজ চা, গ্রিন টি খেতে পারেন।
8
9
ডিপ ফ্রায়েড খাবার- ভাজা খাবার বিশেষ করে ডিপ ফ্রায়েড খাবার উচ্চ তাপমাত্রায় ভাজা হয়। বার বার ব্যবহৃত তেলে ট্রান্স ফ্যাট বেশি থাকে। যা থেকে প্রদাহ, স্থূলতা এবং রক্তচাপের সমস্যা তৈরি করতে পারে-এই সবই কিডনির সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কিত। স্বাদ বদলে ধোকলা, ইডলি, বা বেকড সিঙারা, স্টিমড অথবা গ্রিলড স্ন্যাকস, এয়ার ফ্রায়ারে কম তেলে তৈরি খাবারও খেতে পারেন।
9
9
অতিরিক্ত নুন- বেশি সোডিয়ামযুক্ত খাবার খেলে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এটি কিডনির উপরও মারাত্মক চাপ তৈরি করে। বেশিরভাগ ভারতীয় প্রতিদিন বিশ্ব স্বাসংস্থ্য সংস্থার সুপারিশকৃত ৫ গ্রাম লবণের চেয়ে বেশি লবণ খান। বিশেষ করে আচার, পাপড়, প্যাকেটজাত খাবার এবং এমনকী নিয়মিত বাড়িতে রান্না করা খাবারের মাধ্যমেও শরীরে যথেষ্ট নুন যায়। বরং খাবারে জিরে, ধনেপাতা, আদা, লেবুর রস, রসুন, এমনকী পরিমিত পরিমাণে সেন্ধব লবণ যোগ করলে ভাল স্বাদ পাবেন।